
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৬ তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং হেলে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে ভাড়াটিয়ারা অন্যত্রে স্থানান্তর হয়েছে যে যার মতো করে।
জানা যায়, বিগত ৫ বছর আগে প্রবাসী কাজী মো. ছাদেক পৌরসভার সুচক্রদন্ডী এলাকায় মুন্সেফ বাজারের পিছনে ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি নির্মান করেন। বিল্ডিং টির পূর্ব পার্শ্বে ৪র্থ তলায় উপরের অংশ হেলে পড়েছে পার্শ্ববর্তী মো. সোলায়মানের হামদ সেহজাদ বিল্ডিংয়ের সাথে।
এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্হানীয়রা।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পটিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুচক্রদন্ডী এলাকার মুন্সেফ বাজারের পিছনে প্রবাসী কাজী ছাদেক ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করেন। বিল্ডিংটিতে ১৭ প্ল্যাটের মধ্যে ১৬ প্ল্যাটে ভাড়াটিয়া থাকতেন। কয়েকদিন আগে ভবনের উপরের অংশ হেলে পড়াতে বিষয়টি পাশ্ববর্তী বিল্ডিংয়ের মালিক পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে জানান ।
দুর্ঘটনার আশংকায় বিল্ডিংয়ের ১৬টি ভাড়াটিয়াকে দ্রুত নিরাপদে অন্য বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে বিল্ডিংটির প্রধান ফটকে তালা ঝুলানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পটিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার জানান, নির্মাণ কাজের ত্রুুটির কারণে ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি হেলে পড়েছে। ইতোমধ্যে হেলে পড়া বিল্ডিংটি সিলগালা করার জন্য ম্যাজিষ্টেট চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। মালিককে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিল্ডিংটির মালিক প্রবাসী কাজী মো. ছাদেক দেশের বাইরে থাকার ফলে তার ভাই জাহেদ জানান, বিল্ডিংটি নির্মাণ কারে তাদের কোন ত্রুটি ছিল না বিল্ডিংয়ের পাইলিং না করলেও চুয়েটের এক্সপার্ট ও ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৬ শতক জায়গার উপর বিল্ডিংটি নির্মান করা হয়েছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় হয়। পুনরায় বিশেজ্ঞদের মতামত নিয়ে ভবনটি ঝুঁকিমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।