ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চবি শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে আইআইইউসি ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর সাইফুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে (আইআইইউসিতে) এ্যাডভাইজার হিসেবে স্ব পদে বহাল রাখারা জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে ছাত্রদের একটি অংশ। প্রফেসর সাইফুল ইসলামকে স্বপদে বহাল না রাখলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ারও হুমিক দেওয়া হয়। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এসময় অনেক কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ৮ বছর আগে চট্টগ্রাম ( আইআইইউসিতে ) খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগাদান করেন। পর্যায়ক্রামে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান,কো-অর্ডিনেটর ও বর্তমানে তিনি এ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চলতি বছরের ৩০ আগষ্ট তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটের কারনে উনার সাথে কর্তৃপক্ষ নতুন করে কোন চুক্তি করবেনা এমনটি আঁচ করতে পেরে উনাকে স্ব পদে পুনরায় রাখারা জন্য আন্দোলন করছে।

জানা যায়, প্রফেসর সাইফুল ইসলামকে স্ব পদে বহাল রাখার জন্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালিখিসহ ক্যাম্পাস অচল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ভিসি বরাবর দেওয়া হয়েছে স্বারকলিপি। এই নিয়ে চলছে অচলাবস্থা।

.

আইআইইউসি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত থাকা অবস্থায় আরেকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের আইনের পরিপস্থি। চলতি বছরের ৬ আগষ্ট ( স্মারক নং- ইউজিসি /পাব:বিশ্ব/৫২৬ (অংশ২)/২০১৮/৩২৮৯) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এক নোটিশের মাধ্যমে জানায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক স্বীয় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাতীত অন্য কোন সরকারী-বেসরকারি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারবেনা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি চুক্তি ভিত্তিক এ্যাডভাইজার হিসেবে এখন আছি। এই চুক্তিতে আমি থাকতেই পারি। আমি চাইলে লিয়েন ছুটির মাধ্যমে এখানকার ডিন হতে পারি। আইআইইউসি কর্তৃপক্ষ চায় আমি যেন লিয়েন ছুটি নিয়ে এখানে যোগদান করি। সরকারি নীতিমালায় সেটা রয়েছে। কিন্তু আমি চাচ্ছিনা এখানে থাকতে। কারন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ই আমার সবকিছু, আমার বাড়ী। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে আসলে সেখানকার আমার ছাত্ররা বঞ্চিত হবে। আর এখানকার আমার ছাত্ররা চাচ্ছে আমি যেন এখানেই থেকে যাই। তাই তারা কর্তৃপক্ষের নিকট আমাকে রাখার দাবী জানিয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে আইআইইউস ‘র ভিসি গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, আপনি এই বিষয়ে আমাদের প্রক্টরের সাথে কথা বলুন।

প্রক্টর মোস্তফা মুনির এই বিষয়ে বলেন, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম আমাদের এখানে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের এ্যাডভাইজার হিসেবে রয়েছেন। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত উনার সাথে চুক্তি রয়েছে। ছাত্রদরে একটি অংশ উনাকে চায়। এই নিয়ে একটু সমস্যাও হচ্ছে। আমরা আইনী বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print