
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর মামলায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাতকানিয়া – লোহাগড়ার সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শামসুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক নায়েবে আমীর ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের একাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স ডিভিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহছান উল্লাহসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বলে জানান, জামায়াত নেতাদের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবি মঞ্জুরুল ইসলাম আনসারী।
কারাগারে পাঠানো অন্যরা হলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ব্যবসায় অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ডক্টর মাহবুবুর রহমান, ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী অধ্যাপক ডক্টর কাউসার আহমেদ, ইকোনমিক্স এন্ড ব্যাংকিং অনুষদের সহকারী অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন, বোর্ড অফ ট্রাস্টি ‘র পিএস ও সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম।
২০০০ সালের ২৭ জানু্য়ারী আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর কুমিরা ক্যাম্পাসে সংগঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত গঠনার পরিপেক্ষিতে ২৯ জানু্য়ারী রাত ৯ টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্ররা হল ছেড়ে চলে যাওয়ার আগ মুহুর্তে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ (প্রস্তাবিত) কমিটির কয়েক জন নেতা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর এর অভিযোগ তুলে। উক্ত গঠনার পরিপেক্ষিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ এর সহ -আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে এতো দিন জামিনে ছিলেন।
জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজ মঙ্গলবার নিম্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানীকালে তাদের ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেন দেন।