পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলার পটিয়া ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাই রহমানিয়া মোহাম্মদিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রহিম উল্লারকে ছাত্রের সাথে অসামাজিক কাজের (বলৎকার) অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায় , করনখাইন রহমানিয়া মোহাম্মদিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রহিম উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে এতিম থানার ছাত্রদের যৌন নির্যাতন ও বলৎকার করে আসছিলেন। বিষয়টি এলাকার লোকজন ও কমিটির সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হলে শিক্ষক রহিম উল্লাহকে নজরদারিতে রাখেন। গতকাল রবিবার রাতে রহিম উল্লাহ এতিমখানার এক ছাত্রকে বলৎকার করার সময় স্থানীয় লোকজন ও কমিটির সদস্যরা হাতেনাতে ধরে পটিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রহিম উল্লাহর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার সদরের কুরুশকুল এলাকার মৃত মো. আলমের পুত্র।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রহিম ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও ছাত্রদের যৌন হয়রানি ও বলৎকারের অভিযোগে রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাদ্রাসার সুপার ও ভারপ্রাপ্ত সুপারসহ অনেক শিক্ষক পলাতক রয়েছে। মাদ্রাসা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক রহিম উল্লাহ একাধিক ছেলেকে এর আগেও বলাৎকার করেছে। স্থানীয় লোকজন ও মাদ্রাসার ছাত্ররা মিলে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, মাদ্রাসা শিক্ষক এতিমখানার ছাত্রদের নিয়মিত বলাৎকার ও যৌন হয়রানি করে আসছিল। এতে আরো কয়েকজন শিক্ষক জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
