
চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলাধীন দোহাজারী আয়শা আক্তার (১১) নামে দত্তক নেয়া এক কন্যা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রহস্যের ধুম্মজাল সৃষ্টি হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে পৌরসভার হাজারী পুকুর পাড়স্থ আবদুল জব্বার সওদাগরের বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় নজীর আহমদের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী আলমগীর হোসেনের (৩৫) ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারী আফজল প্রাইমারী স্কুলের তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী এ শিশুটি শুক্রবার রাতে মারা গেলে ঐদিনই গভীর রাতে রহস্যজনক কারণে পর পর তিনটি কবর খোঁড়ার পরও সেগুলোর কোনটিতে শিশুটিকে দাফন না করে আরেকটি কবর খুঁড়ে রাত ৩টার দিকে তাড়াহুড়ো করে তাকে কবরস্থ করা হয়।
সূত্রগুলো জানায়, সৌদি আরব প্রবাসী আলমগীর দম্পতি বিবাহের পর দীর্ঘদিন যাবত নিঃসন্তান থাকায় প্রায় দশ বছর পূর্বে মা-বাবাহারা আয়শা আক্তার নামে এ শিশুকন্যাকে দত্তক নেন। এরপর আলমগীর দম্পতির সংসারে দু’সন্তান জন্ম নেয়।
হতভাগা শিশুকন্যাটির মালয়েশিয়া প্রবাসী পিতা কন্যাসন্তানসহ তার মাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তার মাতা অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে আলমগীর দম্পতি তাকে দত্তক নেন।
প্রবাসী আলমগীরের পরিবার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় জনৈক সাদেক হোসেনের ছেলে অবিবাহিত রাজিব (৩০) প্রবাসী আলমগীরের অবর্তমানে তার পরিবারের দেখাশুনা করতেন। কোন অসামাজিক কার্যকলাপের সাক্ষ্য-প্রমাণ চিরতরে গোপন করার উদ্দেশ্যে এ হতভাগা শিশুটিকে দুনিয়া থেকে চিরকালের জন্য সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
স্থানীয় এক দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেয়েটি মারা যাওয়ার দিন সন্ধ্যার আগে সম্পূর্ণ সুস্থ শরীরে দোকানে এসে কেনাকাটা করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রহস্যজনক এ মৃত্যুর চারদিন পরও লাশের ময়না তদন্ত কিংবা অপমৃত্যু মামলা হয়নি।
এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অভিযোগ উঠেছে।
চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। তবে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে বলেছেন বলে জানান।