
চট্টগ্রাম মহানগরীর সকল থানার কর্মকান্ড পুিলশ কমিশনার কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা হবে জানিয়ে সদ্য যোগদান করা সিএমপির কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেছেন, প্রতিটা থানায় যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে তা কমিশনার কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষন করা হবে।
তিনি আজ বৃহষ্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে নবাগত পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভা (মিট দ্যা প্রেস) এ কথা বলেন।
এসময় তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে আরও ঢেলে সাজানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে সিএমপির নতুন কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পুলিশি সেবার মূল কেন্দ্র হলো থানা। থানাকে নিবিড় মনিটরিংয়ের আওতায় এনে সেবা দেওয়ার সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করবো। থানার কর্মকাণ্ডের কিছু অংশ ডিজিটালাইজেশন করবো। থানায় আগত সেবাপ্রার্থীরা যাতে প্রয়োজনীয় সেবা পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করবো।
তিনি থানা এলাকায় দালালের আনাগোনার বিষয়ে বলেন, থানা এলাকায় আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবো। সেটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনিটরিং করবেন। থানা একটি পাবলিক অফিস, এখানে যে কেউ আসতে পারে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য রাখবো, পুলিশি কাজে ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ যাতে না হয়।
নতুন সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সবার আগে থানাগুলোকে সুসজ্জিত করার কাজ করবো। যে কোন ঘটনায় জনগন থানায় ছুটে যান। থানায় কারা আসা যাওয়া করছে, কি ধরনের কাজ হচ্ছে সব কিছু মনিটরিং করবো। এখন থেকে থানার সিসি ক্যামেরাগুলো কমিশনার কার্যালয় থেকে মনিটর করা হবে। থানার যে নিয়মিত কার্যক্রম জিডি, দরখাস্ত, তদন্ত সবকিছু মনিটর করবো। নিবিড়ভাবে কাজ করার সুবিধার্থে থানাকে তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করবো।
চট্টগ্রাম নগরবাসীকে সেইফ সিটি উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বিশ্বের অনেক মহানগরে সেইফ সিটি কনসেপ্টের কথা আছে। আপনারা জানেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে এটি নিয়ে একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ ছিলো। পরবর্তীতে এটি এলাকা ভিত্তিক করা হয়েছে। আমরা আমাদের সীমিত সার্মথ্য ও নগরবাসীর সহায়তায় চট্টগ্রামেও শুরু করতে চাই। চলমান কাজ গুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা, আওতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সিএমপিতে একটি মিডিয়া সেন্টার চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ও সাধারন জনগনের কাছে তথ্য প্রবাহে কাজ করে মিডিয়া। আমরা মিডয়ায় তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করবো। সাধারন জনগন ও পুলিশের মাঝে কোন দূরত্ব রাখা যাবেনা। এক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। আমরা ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট নিয়ে কাজ করি। এনফোর্সমেন্টের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চাচ্ছি। যেসব মোড়ে ট্রাফিক জ্যাম বেশি হয় সেসব মোড় চিহ্নিত করে দুর্ভোগ লাঘবে পরিকল্পনা করছি। চট্টগ্রামে নানা জায়গায় উন্নয়ন কাজ চলছে, এর ফলেও ট্রাফিক জ্যাম হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।
এছাড়া সিএমপি কমিশনার, জঙ্গীবাদ, মাদক, কিশোর গ্যাং, সাইবার অপরাধ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং নিয়ে ব্যাপক কাজ করার পরিকল্পনা জানান।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের করা অধিকাংশে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি এখন কোন কথা বলতে চাই না। আমার কাজই কথা বলবে। আপনারা শুধু অবজারভ করে যান। পরিবর্তন আসে কিনা দেখেন।
মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) আমেনা বেগম, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মেহেদী হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেন।