পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
পুলিশকে গণমুখী ও জনবান্ধব করার জন্য সারাদেশের মত পটিয়াও চালু করা হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। উপজেলার আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আজ রবিবার দুপুরে বিট ৬ পুলিশং কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান।
পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিট কর্মকর্তা উপপরিদর্শক খাইরুল রবিন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা্ বলেন, প্রতিটা ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রম মনিটরিং, তদারকির জন্য পুলিশ সদস্যদের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কো-অপারেট করবে। ভৌগোলিক দূরত্ব ও সুনির্দিষ্ট কাঠামোবদ্ধ কর্মসূচির অভাবে অনেক ক্ষেত্রে জনগণ পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। পুলিশের প্রতি একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়। পুলিশ-জনতা সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য, প্রতিটি নাগরিকের পুলিশের সেবাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের আদেশ অনুযায়ী পটিয়ার সতেরটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকাতে পুলিশের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বসে, আলোচনা করে পুলিশের সেবা গতিশীল করা যেন গ্রাম্য দালালচক্র ও অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি না পায়।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান বলেন, পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি জনমুখী করতে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ রবিবার পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নে চালু হয়েছে। ‘কমিউনিটি পুলিশের কমিটি গঠনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলেও এ কমিটি নিয়ে বিভিন্ন সময় সমালোচনা হয়েছে। যাদের দুর্নাম রয়েছে এমন লোকও কমিউনিটি পুলিশের নেতা হয়েছেন, নেতা হয়েছেন রাজনৈতিক দলের বিতর্কিত ব্যক্তিরাও। আর কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে জনগণ ও পুলিশের দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের কথা বলা হলেও অনেক সময়ই ঝামেলা এড়াতে লোকজন পুলিশের কাছে যায় না। এসব কারণে আশানুরূপ ফল আনতে পারেনি কমিউনিটি পুলিশিং। এ কর্মকর্তা মনে করেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ চরম বিপদে না পড়লে থানায় আসবে না। তাই এখন বিট পুলিশিং চালু করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান আহমেদ নুর, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম ইউ পি সচিব নাজিম উদ্দীন, আশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম ইউ পি সদস্য আহমদ নূর চৌধুরী, নুরুল আবচার চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, আজম খান, নিকাশ বডুয়া, ফয়েজ আহমেদ, আব্দুল আলিম, হেলাল মিয়া, জয়নাল আবেদীন, শিপু আকতার, মোবারক খাতুন, স্বাস্থ্য কর্মী ওসমান গনি, নিলুফার সুলতানা, ছাত্রলীগ নেতা নোমান, আব্দুল্লাহ, রাব্বি, মারুফ , ফাহিম তানভীর,হাসান প্রমুখ।
