ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে দেশের প্রথম প্রাণী ব্লাড ব্যাংক

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

screenshot_3
.

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে স্থাপন করা হয়েছে দেশের প্রথম ও একমাত্র প্রাণী ব্লাড ব্যাংক। নগরীর খুলশি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্লাড ব্যাংক চালু হয়েছে।

মানুষের জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ রক্ত। যেকোনো সংকটকালীন মুহূর্তে ব্লাড ব্যাংক থেকে অতি সহজেই পাওয়া যায় জীবন রক্ষাকারী এ উপাদানটি। শুধু মানুষ নয়, বিভিন্ন প্রাণীর জীবন বাঁচাতেও প্রয়োজন হয় রক্তের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণীর জীবন রক্ষায় এনিম্যাল ব্লাড ব্যাংক থাকলেও বাংলাদেশে এতদিন পর্যন্ত তা ছিল না। আর সে কারণে আহত বা বিভিন্ন সংকটকালীন অবস্থায় থাকা প্রাণীর রক্তের চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের একমাত্র প্রথম প্রাণী ব্লাড ব্যাংকের।

screenshot_6
.

যে কোনো প্রাণীর সংকটকালীন মুহূর্তে এ ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সরবরাহ করা হবে। রক্তদানের পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাণীকে একটি নতুন জীবন উপহার দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সিভাসু কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে কুকুর ও বিড়াল পালনকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একই সঙ্গে আহত ও অসুস্থ প্রাণির রক্তের চাহিদাও যথেষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএ কাদেরী টিচিং ভেটেরিনারি হাসপাতালে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র প্রাণী ব্লাড ব্যাংক ‘সিভাসু অ্যানিম্যাল ব্লাড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

screenshot_4
.

প্রাণির সংকটকালীন সময়ে রক্তদানে উৎসাহিত করার জন্য প্রাণীর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, ‘যারা কুকুর, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণী পোষে তারা যখন গুরুতর আহত হয় রক্তের প্রয়োজন হয় তখন সেই রক্ত আমরা দিতে পারি না। কারোর পালিত পশু রক্তের কারণে মারা না যায় সেই জন্য আমরা এই প্রাণী ব্লাড ব্যাংক তৈরি করেছি।’ “যে কোনো দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে অতিরিক্ত দুর্বলতা দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে প্রাণীকে প্রয়োজন অনুযায়ী সিরাম অথবা লোহিত রক্তকণিকা অথবা শ্বেত রক্তকণিকা সরবরাহ করতে হয়।”

screenshot_10
.

তিনি বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য যেমন রক্ত দেয়, তেমনি প্রাণী প্রাণীর জন্য রক্ত দিবে। এই উদ্দেশ্য থেকেই দেশের প্রথম ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”

সিভাসু ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জারি ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বিবেক চন্দ্র সূত্রধর বলেন, “পোষা প্রাণীর রক্তদান অন্য অসুস্থ প্রাণীকে একটি নতুন জীবন উপহার দিতে পারে। একটি কুকুর বা বিড়াল প্রতি ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর পর নিরাপদভাবে রক্তদান করতে পারে। তবে প্রতি ৬০ থেকে ৯০ দিন পর পর রক্তদান করা উচিত।”

screenshot_9
.

তিনি জানান, একটি কুকুর বছরে সর্বোচ্চ চারবার রক্তদান করতে পারে। তাছাড়া কুকুর, বিড়াল বা যেকোনো প্রাণী থেকে তিন মাস পরপর রক্ত নেয় যায়। প্রতিবার রক্ত নেয়ার সময় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলি পর্যন্ত রক্ত সংগ্রহ করা যায়। ব্লাড ব্যাংক স্থাপন হওয়ায় খুশি পশু প্রেমীরাও। এক ব্যাগ রক্ত সর্বোচ্চ চারটি প্রাণীর জীবনরক্ষায় ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও যে কোনো প্রাণীর জীবন সংকটে যে কোনো সময় রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। তবে রক্তদান সম্পর্কে প্রাণী প্রেমী যারা রয়েছেন তারা এখনও সচেতন নয় বলে জানালেন এই পশু চিকিৎসক।

দেশে প্রথম চালু হওয়া এই ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাণীর জন্য রক্তের যোগান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান অধ্যাপক বিবেক। এবং এখন পর্যন্ত তিনটি কুকুরের সংগৃহীত রক্ত ৬টি কুকুরকে দিয়ে জীবন বাঁচানো হয়েছে।

 

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print