ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পটিয়ায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকের উপর হামলা,ভাঙচুর

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলার পটিয়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় পানিতে পড়া জুবায়ের হোসেন নামের দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে স্বজনরা।

আজ শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জিয়াউদ্দিন মোঃ সাকিব জানান, আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে বড়লিয়া ইউনিয়নের ওকন্যারা গ্রামের ইমরান হোসনের দেড় বছর বয়সী জুবায়ের হোসেন নামের এক শিশু পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে মূমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে ইসিজি করে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর শিশুটিকে নিয়ে তার স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর কে বা কারা বলতে শুরু করে শিশুটি এখনো বেচে আছেন। প্রায় ঘন্টা খানেক পর পরবর্তীতে শিশুটি বেঁচে আছে বলে আবারও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এসময় আবারো দেখে চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষনা করেন।

এসময় পৃর্বে ভুল চিকিৎসায় শিশুটির মৃতুর অভিযোগে চিকিৎসকদের সঙ্গে এলাকার বিক্ষুদ্ধ ৪০-৪৫ জনের লোকবল নিয়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার উপর হামলা চালিয়ে এবং অফিসে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার সুচিতা দেব জানান,  মূমুর্ষ শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। আমরা দ্রুত শিশুটির ইসিজি করে এবং অন্যান্য চেক-আপ করার পর শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করি। পরে তারা এসে বলেন শিশুটি মারা যায়নি। তখন আমরা আবারও ইসিজি করে নিশ্চিত হই শিশু মৃত। একপর্যায়ে তারা আমার উপর ছড়াও হলে আমি ডাক্তার সাকিবকে ডেকে নিয়ে আসি। তখন তাদের উৎসুক জনতা আমাদের উপর ছড়াও হয়ে চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর ও ভাংচুর চালায়।

শিশুটির চাচা মোহাম্মদ ইরফান জানাতন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর ভাতিজা পুকুরে পানিতে ডুবে যাওয়ার পর পুকুর থেকে মুর্মূষু অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি করে মৃত্যু ঘোষণা করেন। কিন্তু ভাতিজাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর আবার নড়াচড়া করছিল। এসময় দ্রুত আবারও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের পৃর্বের ইসিজি প্রতিবেদন নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং তাদের ওপর তেড়ে এসে হুমকি দেয়। এসময় তাদের কে বা কারা চিকিৎসের ওপর হামলা করেছে তা জানিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তাঁর ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা। ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ জাবেদ জানান, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুটি বেঁচে আছে এমন অভিযোগ এনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসারের উপর হামলা করেছে শিশুটির স্বজনরা। একারণে হামলার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, হাসপাতালের ফোন পেয়ে পটিয়া হাসপাতালে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা ইমরান হোসেন ও শিশু টির মামা আবদুর রহমানকে আসামী করে আরো ৫-৬ কে অজ্ঞাত আসামি বিরুদ্ধে ডাক্তার জিয়াউদ্দিন মোঃ সাকিব বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print