
জামার্নিতে বসে সৎ মাকে খুনের পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী ভাড়া করা হয় খুনি। ভাড়াটে সেই খুনি ভাড়াটিয়া সেজে ঢোকেন বাড়িতে। কুপিয়ে হত্যা করেন সেলিনা খানম নামের ওই গৃহবধূকে। পরিবারের দাবি বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ছেলে। তাই এই হত্যাকাণ্ড। ওই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়া এলাকার এই বাড়িতে পরিবারসহ থাকতেন সেলিনা খানম। ২রা অক্টোবর রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে।হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গেলো জানুয়ারিতে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার তিনমাস পর নিজের শালিকাকে বিয়ে করেন এস এম ওবায়দুল্লাহ। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি জার্মান প্রবাসী ছেলে বিপ্লব।
বাবাকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার হুমকি দেন ছেলে। বাবার দাবি তার ছেলেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের স্বামী এস এম ওবায়দুল্লাহ বলেন,’আমার ছেলেকে মিসগাইড করা হয়েছে। আমার পরিবার থেকেই এটা ঘটানো হয়েছে। সন্ত্রাসীরা এরা হলো ভাড়াটে।’
পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই খুনের জন্য দায়ী করছেন জার্মান প্রবাসী বিপ্লবকে। ছোট মেয়ে ফারজানা ইসলাম ইতি বলেন,’যখন আমার বাবা বিয়ে করে বা আমরা জানতে পারি তখন আমরা এটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এটা নিয়ে আমার ভাই ক্ষিপ্ত ছিলো। আমরা ভাইকে আমরা কোন ভাবেই বুঝাতে পারি নাই।’
এই ঘটনায় মামলা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয় কামরাঙ্গীরচর থানায়। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,’বাদী তার ছেলেকে সন্দেহ করছেন। আমরাও ধারণা করছি পারিবারিক কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আমরাও সার্বিক বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। এখনও মামালার আসামিকে আমরা আটক করতে পারিনি।’ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান পরিবারের সদস্যরা।