
আইপিএল এর জুয়ার বাজি ধরে টাকা খুইয়ে পাওনাদারের টাকা আত্নসাত করার জন্য খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ আনা বাবলা দাশ নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
আজ রবিবার সকালে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে জানানো হয়।
কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, আসামী বাবলা দাশ থানায় এসে অভিযোগ করেন যে গত ৯ অক্টোবর লালখান বাজারস্থ বাসা থেকে ফিশারীঘাট আড়তে ১,১৩,০০০/-টাকা নিয়া মাছ কিনতে সিএনজি যোগে যাওয়ার পথে ডিসি হিলের সামনে একটি নীল রংয়ের পুলিশের গাড়ীতে ৫ জন পুলিশ তাকে উঠিয়ে তার সাথে থাকা ১,১৩,০০০/-টাকা ও তাহার ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় এবং তার এক হাতে কিছু ইয়াবা ও অন্য হাতে টাকা দিয়ে ছবি তুলে। তাকে দুই ঘন্টার মত বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে নিউমার্কেট এর পাশে মিউনিসিপাল মডেল হাই স্কুলের সামনে নামিয়ে দেয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, আসামীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নিদের্শক্রমে বিষয়টি আমরা তদন্ত শুরু করি। আসামীকে নিয়ে নিয়ে ডিসি হিল ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাস্তার সিসি টিভি ক্যামেরা ফুটেজ পর্র্যালোচনা করে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীর ব্যহৃত মোবাইল ফোনের অবস্থান নির্ণয় করে তাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বাবলা দাশ পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ করতে থাকেন। বিষয়টি সন্দেহজনক এবং থানা এলাকায় ডিউটিরত অফিসার, ফোর্সদের জিজ্ঞাসাবাদে বাবলা দাশের অভিযোগের সত্যতা কেউ স্বীকার করে নাই।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। আসামী ইলিশ মাছের মৌসুম শুরু হওয়ার পর গত ইং ০১/০৮/২০২০ তারিখ থেকে পাইকারী ভাবে সরকার ফিস ট্রেডিংয়ের মালিক মোঃ আইনুদ্দীন প্রঃ মালুর কাছ থেকে নগদ ও বাকীতে মাছ ক্রয় করে। একপর্যায়ে হিসাব নিকাশ শেষে মোঃ আইনুদ্দীন প্রঃ মালু এর প্রতিষ্ঠান তথা আসামীর কাছ থেকে সর্বমোট ১,৭০,০০০/-টাকা পাওনা হয়। মোঃ আইনুদ্দীন প্রঃ মালু আসামীর কাছ থেকে পাওনা টাকা চাইলে সে আজ দিবে কাল দিবে বলে কালক্ষেপন করে এবং উক্ত টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামী উক্ত টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা সাজানোর কথা ও আইপিএল এর জুয়ার বাজি ধরে টাকা খোয়ানোর কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করে।