
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) অফিস:
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে সম্পর্ক গড়ে মোটর সাইকেল কেনার কথা বলে রাউজানের এক যুবককে অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে সীতাকুণ্ডের কামরুল হোসেন নামের এক যুবক। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনা পুলিশ তাকে আটক করেছে। তার বাড়ি উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামে।
এ ঘটনায় অপহৃত নেজাম উদ্দিন (২৭) নামে যুবককে সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের সাগরপাড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এঘটনায় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ১১জনকে আসামি করে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একমাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সুজন বাদশা নামে নেজামের এক চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে রওনক বড়ুয়া নামে এক যুবকের পরিচয় হয়। এরমধ্যে নেজাম উদ্দিনের একটি মোটরসাইকেল বিক্রির প্রস্তাব দেয় সুজন। রওনক বড়ুয়া কিনবে বলে রাজি হলে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে নেজাম ও সুজন বাদশা সীতাকুণ্ড পৌরসদরের বাইপাস এলাকায় আসেন। এরপর ৬-৭জনের অপহরণকারীচক্রের এক যুবক নিজামের চাচাতো ভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলটি ঠিক আছে কিনা তা দেখতে চালিয়ে নিয়ে যান।
এদিকে চক্রের অপর সদস্যরা নিজামকে বিকাশ থেকে টাকা তুলে দেবে বলে নিদিষ্টস্থানে নিয়ে যান। অপহরণকারীরা নেজামের মুঠোফোন থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে একটি বিকাশ নম্বর দেন। বিষয়টি সুজন বাদশা সীতাকুণ্ড মডেল থানায় জানালে ওই বিকাশ নম্বরের সুত্রধরে অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেপ্তার করেন।
অপহরণকারীরা নেজামের কাছে থাকা ১৭ হাজার টাকা কেড়ে নেয় বলেও জানান। অপহৃত যুবক নেজাম উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসদরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি(তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।