ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কর্ণফুলী নদীকে জাতীয় নদী ঘোষণা করার দাবী ওয়ার্কার্স পার্টির

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কর্ণফুলীকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে চট্টগ্রামে ওয়ার্কার্স পার্টির সমাবেশ থেকে। পাশাপাশি কর্ণফুলীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা, ড্রেজিং কার্যকর করা, অবিলম্বে নদীটিকে পলিথিন ও বর্জ্য মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়।

‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ এবং ‘বিপন্ন কর্ণফুলী, বাঁচাও দেশের অর্থনীতি’ এই স্লোগান নিয়ে কর্ণফুলীকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ থেকে এ দাবী জানান ওয়ার্কার্স পার্টি, চট্টগ্রাম জেলা।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট আবু হানিফ।

সমাবেশে কর্ণফুলীর দুই পাড় দখলমুক্ত কর, কর্ণফুলীতে কার্যকর ড্রেজিং চাই, কর্ণফুলী পলিথিন ও বর্জ্য মুক্ত করতে হবে, বাঁচাও কর্ণফুলী বাঁচাও দেশ, কর্ণফুলীতে শিল্প দূষণ বন্ধ কর, এসব দাবি সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

সমাবেশে নদী গবেষক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশের কোনো জাতীয় নদী নেই। এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। কর্ণফুলী বাংলাদেশের অর্থকরী নদী। জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান বিশাল। চট্টগ্রাম বন্দর এই নদীর তীরে। জাতীয় অর্থনীতির আয়ের একক অন্যতম প্রধান উৎস এই বন্দর। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও ৯৮ ভাগ এই কর্ণফুলী নদী তীরের বন্দরের মাধ্যমে হয়। বিশ্বে এই বন্দরের অবস্থান ৫৮তম। বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর জীবন, সংস্কৃতি, সামাজিকতা, অর্থনীতি, পরিবেশ-প্রতিবেশ সব এই নদীর সাথে সম্পৃক্ত। এই নদী অববাহিকার ঐতিহ্য হাজার বছরের। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ফ্লোরা, ফাওনা, প্লাংটন, অণুজীবে সমৃদ্ধ কর্ণফুলী মোহনা। নদীটি দেশের অর্থনীতি মেরুদ- ও প্রাণ প্রবাহ।

কর্ণফুলী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এই নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল তৈরি হচ্ছে। সংযুক্ত পাঁচটি নদীতে কর্ণফুলী নদীর পানি প্রবাহিত হয়। নানা ভাবে এই নদী এই ভূখ-ের জাতিসত্তার অহঙ্কার বহন করে। দেশের আর কোনো নদী এত ইতিহাস সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যের ধারক নয়।

সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট আবু হানিফ বলেন, কর্ণফুলী আমাদের জাতীয় অর্থনীতির প্রাণশক্তি। দখল আর দূষণে এর প্রাণ ওষ্ঠাগত। কর্ণফুলীর টানেল হলে ওপারে গড়ে উঠবে আরেকটি নগরী। আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটিতে এই টানেল বিশাল ভূমিকা রাখবে। বন্দর ঘিরেই আমাদের আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম। পাশাপাশি শিল্পায়নও নির্ভরশীল। তাই কর্ণফুলীকে ভালো ভাবে রাখতে হবে। কর্ণফুলী না বাঁচলে দেশের অর্থনীতির মেরুদ- ভেঙে পড়বে।

ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, কর্ণফুলীকে গতিশীল রাখতে ড্রেজিং এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বহু বছর আগে। সেই ড্রেজিং আজও কার্যকরভাবে করা সম্ভব হলো না। পলিথিন জমে নদীর গভীরতা কমে গেছে। কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু ঘিরে জমছে পলি। নদীর দুই তীরে শত শত শিল্প কারখানা। নানা ভাবে নদীর পরিসর ছোট হয়ে আসছে। দখল করা নদীর জমি উদ্ধারে উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্ব রাখা একটি নদীকে এভাবে অবহেলা করা যায় না। কর্ণফুলীকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবি জানাই। জাতীয় নদী হলে হয়ত এসব অবহেলার অবসান হবে। এই নদীটি ঘিরেই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সিংহভাগ অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক যোগাযোগ পরিকল্পনা আবর্তিত হচ্ছে। তাই একে জাতীয় নদী ঘোষণার কোনো বিকল্প নেই।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য সুপায়ন বড়ুয়া, যুব মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মিয়া, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাইফুদ্দিন সুজন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য মোকতার আহমেদ, শামসুল আলম, অধ্যাপক শিবু দাশ, যুবনেতা মো. মহসীন, আবুল মনসুর ও পারভেজ রায়হান। -প্রেসবিজ্ঞপ্তি

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print