
নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত করার এবার চট্টগ্রামের নামকরা খাবারের প্রতিষ্ঠান হ্যান্ডি রেস্টুরেন্ট ও হাইওয়ে সুইটসকে সাড়ে ৫লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এরমধ্যে হাইওয়ে সুইটসকে ৩ লাখ টাকা ও হ্যান্ডি রেস্টুরেন্টকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
র্যাব-৭ এর তত্বাবধায়নের রোববার রাতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.আনিসুর রহমান । সহায়তা করেন বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার মো. জিশান আহমেদ তালকুদার ও র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. সোহেল মাহমুদ জানান,চট্টগ্রামের অতি পরিচিত এবং ভোজনপ্রিয় মানুষের পছন্দের প্রতিষ্ঠান হ্যান্ডি রেস্টুরেন্ট। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার অভিজাত মানুষেরা এখানে খাবারের স্বাদ নিতে আসেন। কিন্তু র্যাব-৭ জানতে পারেন এ প্রতিষ্ঠানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরী হয়।

এর ভিক্তিতে রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সরেজমিনে গিয়ে রেস্টুরেন্টে দেখতে পায় রান্নাঘরের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। রান্নাঘরের কর্মীরা কোন প্রকার হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়াই খালি হাতে খাবার প্রস্তুত করছে। এ সময় কয়েকটি ফ্রিজে বেশ পুরাতন নোংরা মশলা এবং অন্যান্য রান্নার উপকরণ পাওয়া যায়।
এছাড়াও হ্যান্ডি রেস্টুরেন্ট এর একটি ক্যাশ ম্যামো পর্যালোচনা করে দেখা যায়,আধা লিটার ১টি ১৫ টাকার দামে মাম পানির বোতলের দাম রাখা হচ্ছে ২০ টাকা।
হ্যান্ডি রেস্টুরেন্টকে বিএসটিআই অধ্যাদেশ ১৯৮৫ (সংশোধনী ২০০৩) এর ২৪ ধারা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারা রেস্টুরেন্ট এর মালিক মো মহিউদ্দিন আল-রিয়াজকে (৪৩) ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ম্যানেজার জালাল উদ্দিন (৪৫) ১ লাখটাকাসহ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অপরিচ্ছন্ন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরী,চিনির সিরার ভেতর মশা, মাছি এবং ঢাকনা ছাড়া মিষ্টি নোংরা ফ্লোরে রাখার দায়ে ‘হাইওয়ে সুইটস’কে জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক ‘হাইওয়ে সুইটস’ এর ম্যানেজার কৃষ্ণদল মজুমদার (৬৩)কে ২লাখ টাকা এবং হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার বড়ুয়া (৬৫)কে ১লাখ টাকা সহ মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।