
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১৩ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার (০৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এ তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিচারক এসএম রুহুল ইমরান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই মামলায় তিন বছর দণ্ডপ্রাপ্ত তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গত ২৭ অক্টোবর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তখন তাকে কারাগারে পাঠায়। পরে তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
এর আগে ১৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওই বছরের ৪ জুলাই বিশেষ জজ আদালত মীর নাছির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
হাইকোর্টের এ রায় বাতিল চেয়ে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টেই শুনানি ও বিচার করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। রায়ে বাবা-ছেলেকে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বহাল রাখা হয়। একইসাথে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এ বছরের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায় প্রকাশ পায়।