ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

জুয়ায় হেরে স্ত্রীকে খুন, জুয়াড়িকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মাদকের চেয়েও ভয়ংকর নেশার নাম জুয়া। সর্বনাশা এই জুয়ার নেশায় পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেকেই, ভেঙেছে অসংখ্য সুখের সংসার। নেশার টানে বৌ পর্যন্ত বাজি রাখার নজীরও রয়েছে। জুয়ার বিরোধে হরহামেশাই ঘটছে মারামারি-কাটাকাটির ঘটনা; হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন কেউ। জুয়ারিরা নেশার ঘোরে নিজেরাই কেবল মারামারি-খুনোখুনিতে জড়াচ্ছেন না, আপনজনের প্রাণ কেড়ে নিতেও দ্বিধা করছেন না তারা। জুয়ার বোর্ডে হেরে এসে স্ত্রীকে খুন করার মতো নৃশংস এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে খোদ রাজধানীতে।

গতকাল শনিবার ভোরে রাজধানীর রূপনগরের আনবিকশক্তি দুয়ারীপাড়া এলাকায় ৩ নম্বর সড়কের ৪৭ নম্বর বাসায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন দুই সন্তানের জননী জোসনা বেগম (২৫)। তার স্বজনদের অভিযোগ, জুয়ার টাকার জন্য প্রায়ই জোসনাকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী মো. মহিউদ্দিন (৩১)। গত শুক্রবার গভীর রাতে জুয়া খেলায় হেরে এসে ফের জুয়া খেলতে জোসনার কাছে টাকা চান তার স্বামী। না দেওয়ায় জোসনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মহিউদ্দিন ঘটনাটি ‘আত্মহত্যা’ বলে নাটক সাজানোর চেষ্টা করেন।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল শনিবার রাতে নিহতের মা কহিনুর বেগম (৫০) মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে রূপনগর থানায় মামলা করার পর পুলিশ মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিউদ্দিনের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠিয়েছেন আজ রোববার।

মামলার বাদী কহিনুর বেগম জানান, ২০১১ সালে ২ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে জোসনাকে বিয়ে করেন মহিউদ্দিন। রূপনগরের আনবিকশক্তি দুয়ারীপাড়ার ওই বাসায় স্বামী ও শ্বশুর আনিছুর রহমানের সঙ্গে থাকতেন জোসনা। সালমান (৫) ও ওসমান (৩) নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছু দিন পরই জোসনা জানতে পারেন তার স্বামী জুয়ায় আসক্ত। যৌতুকের সব টাকা তিনি জুয়ায় উড়িয়ে দেন। টাকা ফুরিয়ে গেলে ফের টাকার জন্য মহিউদ্দিন তার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে শুরু করেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে মহিউদ্দিনের হাতে বিভিন্ন সময় আরও আড়াই লাখ টাকা তুলে দেন কহিনুর বেগম। তারপরও জুয়ার টাকার জন্য মেয়ের ওপর নির্যাতন থামেনি। বিষয়টি মহিউদ্দিনের বাবাকে জানানো হলেও কাজ হয়নি। তিনি কোনও সমাধান না করে উল্টো ছেলেকে উস্কে দিতেন। এমনকি মহিউদ্দিনের বাবাও জোসনাকে পরিবার থেকে যৌতুক আনার জন্য নির্যাতন করতেন।

তিনি আরও জানান, একমাস আগেও টাকা চেয়ে না পেয়ে ওই বাবা-ছেলে জোসনাকে হত্যার জন্য চাপাতি নিয়ে তেড়ে আসে। বাসার অন্য ভাড়াটিয়াদের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় জোসনা রক্ষা পেলেও তার ওপর নির্যাতন থামেনি। জুয়া খেলে বাসায় এসে গত শুক্রবার গভীররাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত জোসনাকে নির্যাতনের পর তার গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ওই পাষণ্ডরা। সকালে ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে খবর পেয়ে জোসনার শ্বশুরালয়ে এসে কহিনুর বেগম জানতে পারেন মেয়েকে মৃত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে মেয়ের শরীরে স্পষ্টত নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান। শনিবার লাশ দাফনের পর জোসনার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। জুয়ার টাকার জন্য মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন কহিনুর বেগম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপনগর থানার এসআই দেবরাজ চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিহতের স্বামী মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় অভিযোন চলছে।’

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print