ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফটিকছড়ির রুস্তম চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিহত যুবতীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

15078707_633261310186254_6754057664884433613_n
ভুজপুরের পুলিশ কবর থেকে শিরিনের লাশ উত্তোলন করছে।

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউপি চেয়ারম্যানের রুস্তম আলীর বাড়িতে নিহত গৃহপরিচারিকা শিরিন আক্তার (২৯) এর লাশ কবর থেকে উত্তলন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাগান বাজার ৮ নম্বার ওয়ার্ড রসুলপুরে জুলফু মিয়ার বাড়ীর (মেয়ের নানার বাড়ীর পেছনে) পাহাড়ের ঢালে মাটি চাপা দেয়া শিরিনের লাশ তোলার পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

shirin-pic-01
নিহত শিরিন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা  ও ভূজপুর থানার হেলাল উদ্দীর ফারুকী এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যুবতী শিরিনের লাশ তোলা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমুল হায়দার ও ভুজপুর থানার ওসি আব্দুর লতিফ।

 এর আগে চেয়ারম্যান রুস্তমের বিরুদ্ধে শিরিনকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। শিরিন আক্তার (২৯) এর পিতা তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোর্টে মামলা (১৫২/১৬) দায়ের করেন। মামলায় চেয়ারম্যান রুস্তম আলী ও তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলামসহ ১১ জনকে আসামী করা হয়েছে।

বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে তা এফআইআর হিসেবে নথিভূক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ওসি ভূজপুরকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। গত ৩ নভেম্বর চীফ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মো. মশিউর রহমান এ আদেশ প্রদান করেন। গত ২৭ অক্টোবর রাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও তা এতদিন গোপন করে রাখে ঘটনার সাথে জড়িতরা।

আদালতে দায়ের করা বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,২০১১ সালে একই ইউনিয়নের ফুলছড়ি গ্রামের নুরুল আমিনের সাথে বিয়ে হয় শিরিনের। কিছুদিন সংসার করার পর তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর নিহত শিরিন বাগান বাজার ইউপি চেয়ারম্যান রুস্তম আলীর বাড়ীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতে থাকে।

এর মধ্যে ১নং অভিযুক্ত ব্যক্তি রুস্তম আলীর স্বভাব চরিত্র ভাল না লাগায় সেখান থেকে কাজ ছেড়ে চলে আসতে চায়। কিন্তু রুস্তম আলী প্রভাবশালী হওয়ায় সে সময় শিরিনকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বাড়ীতে থাকতে বাধ্য করে। বিষয়টি মাকে অবহিত করেছিলেন শিরিন।

এর কিছু দিন পর রুস্তম আলীর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর শিরিনের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক শুরু করেন রুস্তম। এসময় শিরিনকে স্ত্রীর মর্যাদায় রাখবেন বলেও আশাস্ত করেন।

মামলার অভিযোগে আরো জানা যায়,শিরিনকে সেখান থেকে নিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বাদী এবং তাঁর স্ত্রী। কিন্তু তাতেও বাধা দেন চেয়ারম্যান রুস্তম। এরই মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর বাদী তার সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে চিকনছড়া এলাকায় গেলে লোক মুখে শুনে যে তার মেয়ে মরে গেছে। লোক মুখে এ খবর শুনার পর নিজের স্ত্রীকে নিয়ে মেয়ের খোজে রুস্তম আলীর ঘওে গিয়ে শিরিনের খোজ করতে থাকে। এসময় রুস্তম আলী বাদীর স্ত্রীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে বাদী এবং তার স্ত্রীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখায়।

এর পর তার বাইরে বের হলে রুস্তম আলীর কাজের ছেলে মুরালী স্থানীয় চা দোকানে বলতে থাকে যে শিরিন ২৭ অক্টোবর রাতে মারা গেছে। এর পর রুস্তম আলী, তার ছেলে সাইফুল ও অন্যান্য আসামীরা মিলে স্থানীয় আন্দারমানিক বাজারের আলম টেইলার্স থেকে কাপনের কাপড় কিনে রাতের তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে অজ্ঞাতস্থানে শিরিনের লাশ গুম করে ফেলে।

 

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print