
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করে সরকার দেশে একদলীয় শাসন প্রবর্তনের সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে। বিগত ১৪ বছর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা, গুম-খুন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।তারপরেও বিএনপি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা আন্দোলন অব্যহত রেখেছে। আগামী চসিক নির্বাচনে চট্টগ্রামবাসীর ভেটিাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমাদের সকল নেতা কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। মামলা হামলা উপেক্ষা করে ভোট সেন্টার পাহারা দিতে হবে।
তিনি আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছিলেন। আর এই সংগ্রাম এখনো অব্যাহত আছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে। অবৈধ অগণতান্ত্রিক আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন,’বিএনপিকে জনগণ নাকি প্রত্যাখান করেছে’। আমরা বলতে চাই, যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আগামী চসিক নির্বাচনটা অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করেন। নগরবাসীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেন। তাহলে নগরবাসী প্রমাণ করে দিবে, তারা কাকে চান। জনগনের রায়ে আমরা বিশ্বাসী। জনগণ যে রায় দেবে তা আমরা তা মেনে নেব।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের একটাই লক্ষ্য, একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা। আজকে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় বসে রয়েছে। ১৯৭১ সালে দেশ প্রেমী জনতা যে চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। কিন্তু এই সরকার দেশের মানুশের সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ মুক্ত একটা পরিবেশে বাস করতে চেয়েছে। একটা মুক্ত পরিবেশে তৈরি করার জন্য সংগ্রাম করেছে বিএনপি।
এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলি আব্বাস খাঁন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাসেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, মোঃ আলী মিঠু, সালাউদ্দিন লাতু, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আবদুল মালেক, আলমগীর আলী, নগর যুবদল নেতা মোঃ সেলিম, আলী মুর্তোজা খান, জিয়াউর রহমান জিয়া, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আরজুন নাহার মান্না, থানা বিএনপি নেতা, মাহাবুব আলম রান, মোঃ সাফি সওদাগর, সৈয়দ আহমদ, মোঃ আলম, আলী মোহাম্মদ, শাহজাহান (মুক্তিযোদ্ধ) মোঃ মহিউদ্দন, আইয়ুব আলী, সুলতান আহম্মদ,আকতার আলম, মোঃ এনামুল হক রাজু, মোঃ ইউনুছ, মুছা আলম, সম্পাদক মোঃ মিন্টু, আলি হাসান খাঁনা, সোহান চৌধুরী, মহিউদ্দিন, মনির ভূইয়া, মোঃ শাহজাহান, আবদুল মতিন, সালেহ আহম্মদ, মোঃ আবুল, মোঃ আজিম, নওশাদ আহমদ, মোঃ আজিম, আবদুর রসিদ, মোঃ আনোয়ার, মোঃ ইউনুছ বেটা, মোঃ জাহিদ, মোঃ সেলিম, সামছুল ইসলাম, হারুন জামান টিটু, মোহরম আলী, মোঃ নাছির, মোঃ মোশারফ, মোঃ জসিম, মুসলিম উদ্দিন বালি।