ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সীতাকুণ্ডে নিখোঁজের ৪ বছর পর পাহাড়ে মিললো সালাউদ্দিনের কঙ্কাল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
সীতাকুণ্ডে অপহরণের ৪ বছর পর সালাউদ্দিন (৪৫) নামের এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে সিআইডি। সালাউদ্দিন ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হয়েছিলেন।  তিনি সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের দিঘীরপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

ধৃত আসামীর আলমগীর হোসেনের দেখানো মতে আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টার সময় উপজেলার ছোট কুমিরা ইউনিয়নের পাহাড়ের চিপায় ত্রিপুরাপাড়ায় মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।

.

সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রোর এসপি শাহনেওয়াজ খালেদ কঙ্কাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তিনি বলেন- এটি সালাউদ্দিনের কঙ্কাল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ডিএনএ টেস্টের পর।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হন সালাউদ্দিন। এরপর সালাউদ্দিনের স্ত্রী হাছিনা আকতার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় দিঘীরপাড় এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীরকে। মামলায় স্বাক্ষী করা হয় কঙ্কালের তথ্য দেয়া মুছাকে। ঘটনার পর পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে। ২০১৭ সালে আলমগীর আদালত থেকে জামিন পান। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১৮ সালের আগস্টে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামী আলমগীর হোসেন কুমিরা ইউনিয়নের হাম্মাদিয়া মসজিদের দিঘীরপাড় এলাকার নুর আলম মেম্বারের পুত্র। নিহত সালাউদ্দিনের বাড়িও একই এলাকায়।

.

মামলা বিবরণে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন চা খাওয়ার কথা বলে সালাউদ্দিন ঘর থেকে বের হয়। এরপর সে আর ঘরে ফেরেনি। ওই বছরের ১৮ জুন তার স্ত্রী হাছিনা বেগম বাদি হয়ে গ্রেপ্তার আলমগীরসহ অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় অপহরণের মামলা করেন। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে মামলাটির তদন্তভার পায় সিআইডি।

ঘটনাস্থলে কথা হয় আসামি আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে রিমাণ্ডে এনেছিল। তখন সাতমাস জেল খাটার পর তিনি ছাড়া পান। আর বাড়ি ফেরেননি। চট্টগ্রাম নগরীতে বসবাস করতে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার আবারও গ্রেপ্তার হন। তবে কথা বলার সময় আলমগীর পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলেন।

সিআইডি পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, তদন্তে আসামি আলমগীরের নাম ঘুরে ফিরে আসায় তাকে একাধিকবার ধরার চেষ্টা করেছিলেন তারা। তাই তাকে ধরতে প্রেমের ফাঁদ পেতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

তিনি আরও বলেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করলেও মাথা উদ্ধার করেছেন অন্তত ৫০০ মিটার দুরে হাম্মাদিয়া মসজিদ কবরস্থান থেকে।

সিআইডি পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ আরও বলেন, তাদের ধারণা স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ার কারণে সালাউদ্দিনকে খুন করে আলমগীর। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।

কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সালাউদ্দিনের লাশ উদ্ধারে পুলিশের একাধিক অভিযানে তিনি ছিলেন। ২০১৬ সালে আসামী আলমগীরের ঘরের ভিটি খোঁড়া হয়েছিল। আজ তিনি কঙ্কাল উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print