ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর শিশু মিমকে হত্যা: ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানার বিশ্ব কলোনীতে ফাতেমা আক্তার মীম নামে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলারা রায়ে আদালত ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক জমিউল হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের পিপি এম এ নাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশু মীম হত্যার রায়ে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় ৮ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বিজ্ঞ আদালত। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

.

মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. বেলাল হোসেন ওরফে বিজয় (১৮), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল (১৬), মো. হাছিবুল ইসলাম ওরফে লিটন (২৬), মো. আকসান মিয়া প্রকাশ হাসান (১৮), মো. সুজন (২০), মো. মেহেরাজ প্রকাশ টুটুল (৩২), আয়শা মমতাজ মহলের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলাম মনু (৪৯) ও শাহাদাত হোসেন সৈকত (১৯)। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন সৈকত পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আসামী বিজয় নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন নারিকেল তলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মানিকের ছেলে, রুবেল কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার চণ্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা কাদের ভূঁইয়ার ছেলে, লিটন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি আউটশাহী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে, হাসান সিলেটের জগন্নাথপুর থানার সোনামঞ্চ এলাকার আরজু মিয়ার ছেলে, সুজন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার দৌলখাঁ বাজার এলাকার মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে, মেহেরাজ বায়েজিদের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং পলাতক শাহাদাত হোসেন সৈকত কুমিল্লার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তারা সবাই নগরীর আকবর শাহ এলাকায় থাকতেন।

.

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ- ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি নগরীর আকবরশাহ এলাকার আয়শা মমতাজ মহল নামের একটি ভবনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশু মীমকে। আলোচিত এ মামলার পুরো বিচার পক্রিয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীসহ গুরুত্বপূর্ণ ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

ফাতেমা আক্তার মিম আকবরশাহ এলাকার ফাতেমাতুজ জোহরা হেফজুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মো. জামাল উদ্দিন ওয়াশিং মেশিনের কাজ করেন। তাদের বাসা ছিল আকবরশাহ এলাকার কনকর্ড সী-ওয়ার্ল্ড’র রাজা কাশেমের কলোনিতে।

ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে আকবরশাহয়ের বিশ্ব ব্যাংক কলোনির ছয় তলার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির পাশ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, এ ঘটনায় শিশু মীমের মা রাবেয়া বেগমের করা মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এজহারভুক্ত ৮ জনের মধ্যে ৭ জন আসামিই কারাগারে আছেন। শাহাদাত হোসেন সৈকত নামের একজন আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক।

২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি মা রাবেয়া বেগমের সাথে থাকা বিরোধকে কেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে ফাতেমা আক্তার মীমকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

মীম হত্যার আরও খবর :

* আকবর শাহ থানার কাছে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

* বিশ্ব কলোনীর সেই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়

* বিশ্ব কলোনীতে ধর্ষনের পর কিশোরী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা

* কিশোরী মীম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আরো ৫জন

* ৭জন মিলে গণধর্ষণ করে মীমকে হত্যা করা হয়

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print