ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আজীবন অটল থাকবে: ভারতীয় হাই কমিশনার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড:
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভারতীয় সৈন্যদের আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শহীদ মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীদের স্বরণে “মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র”নামে নির্মিত ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে এটি নির্মান করা হয়।

আজ মঙ্গলবার(২২ ডিসেম্বর) সকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত অনেকাংশে সহযোগীতা করেছে। যার ফলে মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতেও অনেক সৈন্য শহীদ হন। বাংলাদেশ ভারত বন্ধুত্বের সম্পর্ক আজীবন অটল থাকবে।

.

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূত মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং যুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ.সালাম, জেলা পরিষদ সদস্য আ.ম.ম দিলসাদ, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযুদ্ধা বদিউল আলম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, এএসপি (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আসরাফুল করিম, ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা, উপজলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

.

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১২ই ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট দারোগারহাট থেকে কুমিরা এলাকায় ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী সম্মুখ যুদ্ধের প্রস্ততি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং দেশ প্রেমিক জনসাধারণের সহযোগিতায় ঐ দিন রাত ১০টা থেকে পাক হানাদার বাহিনীর উপর আক্রমন পরিচালনা করেন। এই সম্মুখ যুদ্ধ ১২ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে ১৭ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পাক হানাদার মুক্ত হয়। বীরত্বপূর্ণ এই যুদ্ধে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী অসংখ্য সদস্য শহীদ হন। সীতাকুণ্ড সদরে চন্দ্রনাথ মন্দিরগামী এলাকায় মিত্রবাহিনীর পঞ্চাশের অধিক শহীদ জওয়ানের মরদেহ দাহ করা হয় এবং মুক্তিবাহিনীর শহীদদের বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় দাফন করা হয়।

উপজেলার ছোট দারোগারহাট থেকে কুমিরা পর্যন্ত শহীদদের স্বরণে ইতিমধ্যে কুমিরা মহাসড়কের পাশে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতি ৭১ নামে কয়েকটি ভাস্কর্য দিয়ে স্বরণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে ভারতীয় মিত্র বাহিনীদের সম্মান জানাতে প্রথমে পৌরসদর গজারিয়া ডিঘীর পাড়ে তৎকালীন ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ.সালাম এই মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র নামে ভাস্কর্যটি ভিত্তি প্রস্থর করেন। কিন্তু ঐ স্থানে পরবর্তীতে জেলা পরিষদের নিয়োগকৃত ঠিকাদার কাজ করতে গেলে আপত্তি আসে। এরপর দীর্ঘ এক বছর কাজ বন্ধ থাকার পর একাধিক মতবিনিময় করে বর্তমান স্থান মন্দির সড়ক দুই নং ব্রীজ সংলগ্ন সীতা মন্দিরের পাশে উপরে সড়কের পাশে এ ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print