
ভাসানচরের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় দফায় ১৭শ রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পৌছেছেন। আজ রাতে বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্পে অবস্থানের পর আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় তাদের জলপথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ৪৩ টি বাস যোগে অন্তত ১৭শ রোহিঙ্গারা যাত্রা করে। রাত ৮টয় এসব রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম পৌছেছে।
ভাসান চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় দফায় ১৭ শর বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর কয়েকটি জাহাজে করে মঙ্গলবার তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা শিবির থেকে স্বেচ্ছায় ভাসান চর যেতে ইচ্ছুক এমন রোহিঙ্গা পরিবার গুলোকে উখিয়া কুতুপালং অস্থায়ী প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নিবন্ধন করা হয়। সেখান থেকে এসব রোহিঙ্গাদের কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে চট্টগ্রামের উদ্যোশ্যে যাত্রা শুরু করে।

তবে এই বিষয়ে শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আর আর আর সি) অফিস থেকে আনুষ্টানিক কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নির্ভর যোগ্য একটি সূত্র সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৩ টি বাস যোগে অন্তত ১৭শ রোহিঙ্গারা যাত্রা করেছে বলে জানিয়েছে। বহরটির সাথে মালামাল বহনের জন্য ২০ টির অধিক কাভার্ড ভ্যান ছিলো। সাথে এম্বুলেন্স ও আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়টি চোখে পড়ার মতো ছিলো।
ভাসান চরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া মো. জাহেদ হোসাইন বলেন, আমাদের যাওয়ার জন্য কেউ চাপ দেইনি। ভাসানচরে যারা আছে তারা অনেক ভালো আছেন বলে ফোনে জানিয়েছেন। তাই আমি উন্নত জীবনের আশায় সেখানে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গেলো ৪ ডিসেম্বর নারী-পুরুষ-শিশু মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।