
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার জনসাধারনের উদ্দেশ্যে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে নগরীর লালদিঘীর ময়দানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ভার্চুয়াল জনসভার আয়োজন করা হয়। শনিবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি হত্যা, লুট ও দেশকে ধ্বংস করতে পারদর্শী, তাদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করানো যায় না। তারা এদেশের স্বাধীনতাদের সহযোগি দল। ২১ বছর ধরে তারা এদেশের মানুষকে নির্যাতন করে গেছে। বাংলা ভাইয়ের মত ক্যাডার তৈরী করে এদেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। আর বাংলা ভাইকে দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসের রাজ্যে পরিনত করতে চেয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক ক্ষমাতার অপব্যবহারকরে ক্ষমতায় আসে। আর তারপরই দেশের মানুষের উপর চালায় নির্যাতন। শেখ মজিবুর রহমান যখন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করতে শুরু করেছেন তার পরই ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তিকরে দিয়ে পুরষ্কৃত করে মন্ত্রীত্ব প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী তার ৪০ মিনিটের বক্তৃতায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখনো সময় আছে দেশের মানুষকে ভালবেসে তাদের প্রাণ ভিক্ষা দিন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। ৭১ এর পাক হানাদারদের মত নীল নকশা না করে অগ্নিসংযোগ বন্ধ করে জনগণের কথা ভাবুন। এদেশের মানুষ শান্তি চায় যা পূরণ করতে আওয়ামীলীগ সর্বাদা এদেশের জনগণের পাশে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুরুর আগে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সামশুল আরেফিন। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড মোজাফ্ফর আহম্মদ সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, সরকারি কমার্স কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আইয়ুব ভূইয়া।
অনুষ্ঠানের পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় প্রথমবারের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল জনসভার আযোজন করা হয়।