
চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার সীমান্তবর্তী দূর্গম চরাঞ্চল উরির চরের বাসিন্দারা এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষকে হয়রাণীমূলক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রাতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগীরা।
উরির চরের বাসিন্দাদের পক্ষে মোহাম্মদ মাসুম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৪ সালের ২৫জুন সংগঠিত একটি সন্ত্রাসী ঘটনার আড়াই বছর পর উরির চরসহ সন্দ্বীপের শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে হয়রাণীমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে নোয়াখালীর আদালতে। এতে চরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
মাসুম বলেন, বঙ্গোপসাগরের মেঘনা নদীর মোহনার চর ও দ্বীপাঞ্চল সমূহের ত্রাস শাহাদাত হোসেন জাসু ২০১৪ সালের ৫এপ্রিল র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর চরের বাসিন্দাদের মধ্যে যে স্বস্তি ফিরে আসছিল তা নস্যাৎ করার জন্য এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আড়াই বছর আগের একটি ঘটনায় আমার ভাই উরির চর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী মামুনসহ শতাধিক ব্যাক্তিকে আসামী করে কেন এই মামলা দায়ের করা হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। নুরনবী মামুনসহ পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে উরির চরে শান্তি- শৃংখলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে চরাঞ্চলে যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তা নস্যাৎ করার জন্য এই কুচক্রী মহল নুরনবী মামুনসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাদের নামে নানা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নোয়াখালীর আদালতে এই মামলার কারণে চরাঞ্চলের মানুষের মনে নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে। আমরা ধারণা করছি, আবার কোন বাহিনী চরে এসে নতুন করে বিভিষীকা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, এই মামলায় এমন অনেককেই আসামি করা কয়েছে যারা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। তারা ব্যক্তিগত আক্রোশে অনেককে মামলায় জড়িয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা পালিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনসুর আলম, আবুল বশর ও নুরুল আলম।