
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রূপন কান্তি নাথ নামে এক হাজতিকে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগে জেল সুপার, জেলার, চিকিৎসকসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন হাজতির স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথ।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে এ মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদেশ দেন।
মামলায় সাতকানিয়ার মৌলভির দোকান এলাকার রতন ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলার ও জেলখানায় কর্তব্যরত সহকারী সার্জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে।

বাদী ঝর্ণা রানী দেবনাথ আদালতে দাখিল করা অভিযোগে দাবি করেন, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর তার স্বামী ভিকটিম রূপম কান্তি নাথ জিআর ৩৩২/১৮ নম্বর মামলায় সুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। ভিকটিম থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্মতি আদায়ের জন্য অভিযুক্ত বিবাদীরা পরস্পরের যোগসাজসে চট্টগ্রামের কারাগারের সাঙ্গু ১ নম্বর ভবনে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ ও ২৫ তারিখের যেকোন সময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে কারাবন্দি রূপম কান্তি নাথকে হত্যা চেষ্টা করা হয়।
আরও খবর: চট্টগ্রাম কারাগারে শক ও ইনজেকশনে বন্দিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
এনিয়ে সোমবার (১ মার্চ) জেল সুপার, জেলার, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও মামলার বাদী রতন ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ রেজার আদালতে অভিযোগ দেন। এদিন আদালত অভিযোগটি আমলে নিলেও কোন আদেশ দেননি। পরদিন আদালত অভিযোগটি ‘উপযুক্ত আদালতে’পুনরায় তোলার আদেশ দেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডেভোকেট ভুলন লাল ভৌমিক বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া নির্দেশনা মেনেই মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেছি। আদালত শুনানী শেষে পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া বন্দি ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে নতুনভাবে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১১ ধারায় আরও একটি পিটিশন দেওয়া হয়েছে।’