
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে নিজ অফিস থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নিহত সাংবাদিক সুজন মন্ডলের মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা না নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তা।
গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ব্যক্তিগত অফিসের দরজা ভেঙ্গে ভিতর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মীরসরাই থানা পুলিশ। নিহত সুজন মন্ডল দৈনিক ইত্তেফাক এ মীরসরাই উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা কি-না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
মীরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীনেশ দাশগুপ্ত জানান, সাংবাদিক সুজনকে সারাদিন না দেখে ও অফিসের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখায় তার বন্ধুরা থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে রাতে পুলিশ সুজনের ব্যক্তিগত অফিসের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় অফিসের আড়ায় তার লাশ ঝুলছে। এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা সেটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সুজন চন্দ্র মন্ডল মীরসরাইয়ের প্রবীণ সাংবাদিক নিরোধ বরণ মন্ডলের ছেলে। তিনি মীরসরাই পৌরসভার বাকখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তার ৮ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সুজন হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও তার মানসিক সমস্যা ছিল।