
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের মালিকানাধীন বেসরকারী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত হল। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৪ জন।
আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ৪জনের মৃত্যু হয়।
আহতদের বাঁশখালী স্বাস্থকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে আনা হলে বেলা পৌনে ২টার দিকে একজন মারা যান।

নিহতরা হলেন-রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪), আহমদ রেজা (১৮), মো. রাহাত (২৪) ও মো. রায়হান (২৫)।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সংঘর্ষে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেন।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এসময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয় জানান, বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. রায়হান (২৫) মারা যান। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আদর্শ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীরা জানায়, শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিয়ে গতকাল শুক্রবার থেকে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে সকালে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রমিক নেতারা। বৈঠক চলার সময় দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৫জন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভিডিও-
উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের এপ্রিলে একই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘাতে ছয়জন নিহত হন। বাঁশখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে এস আলম গ্রুপ।