ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হাটহাজারীতে বাবু নগরী মীর হেলালসহ ৩ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের ৩ মামলা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমির ও বর্তমান আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। এ দুটিসহ ওই ঘটনায় হওয়া মোট তিনটি মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ তিন হাজার ব্যক্তি।

গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানায় মামলা তিনটি দায়ের করা হলেও আজ সোমবার তা জানা গেছে।

গত ২৬ মার্চের ঘটনায় বৃহস্পতিবার কেন মামলা করা হয়েছে, জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, জড়িত আসামিদের শনাক্ত, নাম-ঠিকানা যাচাই করতে সময় লেগেছে। নিরীহ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, তাই যাচাই করে প্রকৃত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এখানে অন্য কিছু ছিল না।

পুলিশ সূত্র জানায়, মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়।

চট্টগ্রাম পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) কনস্টেবল মো. সোলায়মান একটি মামলার বাদী। ওই মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা মীর ইদ্রিস, নাছির উদ্দিন, জাকারিয়া নোমান, আহসান উল্লাহসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় রাখা হয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৬ মার্চ দায়িত্ব পালনকালে হাটহাজারী জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে থেকে সোলায়মানকে ধরে নিয়ে মাদ্রাসায় আটকে রাখা হয়। তাঁকে সেখানে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

হাটহাজারী থানার পরিদর্শক আমির হোসেন বাদী হয়ে করা আরেক মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা জাকারিয়া নোমানসহ উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রাখা হয় ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ব্যক্তিকে।

হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান শিকদারসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রাখা হয় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে হাটহাজারী সদর, ইছাপুর বাজারে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও রাস্তায় দেয়াল দিয়ে আসামিরা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। আসামিরা ২৬ থেকে ২৮ মার্চ রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ, থানা ও ভূমি অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশের ওপর হামলা করেন।

নতুন হওয়া তিন মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন বলেন, ‘কিছু বলার নেই। যা করার আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।’ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে চারজন নিহত হন।

চারজন নিহত হওয়ার জেরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী ও পটিয়া থানা ভবন, হাটহাজারী ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। সরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯২ লাখ টাকা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাতটি, পটিয়া থানায় একটিসহ আটটি মামলা হয় ঘটনার চার দিন পর। আর এসব ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় ৪ হাজার ৩০০ জনকে। সন্ত্রাসবিরোধী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print