t ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যু, পরিবার বলছে হত্যা – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যু, পরিবার বলছে হত্যা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ফরিদপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৬ টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ওই আসামিকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি)।

মৃত ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন মোল্লা (৪৮)। তাঁর বাড়ি সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে। তিনি বিবাহিত এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।

আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তারের ভাষ্য, ‘আমার বাবা কোনো অপরাধ করেনি। আমার বাবারে রিমান্ডে নিয়া মাইরা ফেলান হইছে।’

আবুল হোসেনকে গত ৫ এপ্রিল রাতে সালথায় সংঘটিত সহিংস ঘটনার জন্য ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। তদন্তে তার নাম আসায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ বলছে, ২৮ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে আবুল হোসেনকে জেলা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। ডিবি কার্যালয়ে রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার বলেন, আবুল হোসেনের রিমান্ড চলছিল। সকালে তিনি সাহ্‌রি করেছেন। আজ ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে তিনি শৌচাগারে যান। অনেকক্ষণ ধরে তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় নিরাপত্তারক্ষী দরজা খুলে দেখেন, তিনি মেঝেতে পড়ে আছেন। তাকে দ্রুত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, হাসপাতালের খাতায় সকাল ছয়টায় ৩৯৩০৯২ নম্বর সিরিয়ালে আবুল হোসেনের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। ‘তাঁকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে’ মর্মে খাতায় লেখা রয়েছে। ওই খাতার তথ্য অনুযায়ী, আবুল হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যান ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান।

ওই সময় জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ আবুল হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, মৃতের শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার (১৮) বলেন, ‘আমার বাবা কোনো অপরাধ করেননি। আমার বাবারে রিমান্ডে নিয়া মাইরা ফেলান হইছে। আমার বাবা নিরীহ মানুষ ছিলেন। তিনি কোনো দল-পক্ষে থাকেন না। তিনি গরুর খামার নিয়ে থাকতেন।’ মেয়ে তাঁর বাবা হত্যার বিচার চান।

সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, আবুল হোসেন নিরীহ ধরনের মানুষ ছিলেন। তাঁর একটি গরুর খামার আছে। তিনি ওই খামার নিয়েই থাকতেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।

ফরিদপুরের এসপি মো. আলিমুজ্জামানের ভাষ্য, ‘আবুল হোসেন মোল্লা স্ট্রোক করে বা অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত করাসহ যাবতীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) জামাল পাশাকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print