ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

‘করোনামুক্ত হলেও ঝুঁকিমুক্ত নন খালেদা জিয়া’

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন, তবে তিনি ঝুঁকিমক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার (৬ মে) সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান এভারকেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ডা. আরিফ মাহমুদ।

তিনি জানান, কোভিডে-১৯ আক্রান্ত যেকোনো রোগীর ১৪ দিন পর আর টেস্ট করানোর প্রয়োজন হয় না। তারপরও খালেদা জিয়ার ২৫ দিন পার হয়েছে। নিয়ম মাফিক তার নেগেটিভ চলে এসেছে।

ডা. আরিফ মাহমুদ জানান, করোনা পরবর্তী কিছু জটিলতায় ভুগছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। যেহেতু তার বয়স বেশি, ডায়াবেটিস, কোভিড কমপ্লিকেশন রয়েছে, সব মিলিয়ে তার নানা রকম জটিলতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিয়েছি বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। সেটা দেশে কিংবা বিদেশে। দেশে করালে বড় যেকোন হাসপাতালেই করানো যেতে পারে। আর বিদেশের ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতার বিষয়। সেখানে আমরা হাসপাতালের চিকিৎসক বা কর্তৃপক্ষ বলতে পারি না। তবে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

এদিকে দেশের বাইরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে করা আবেদন যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার।

বুধবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় গিয়ে তিনি আবেদনপত্রটি হস্তান্তর করেন। এরপর আবেদনপত্রটি পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা কয়েকটি শর্তে স্থগিত করেছে সরকার। সেই শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম দুটি শর্ত ছিল- মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। আর এই দুই শর্তেই আটকে গেছে তার বিদেশযাত্রা।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মে) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারবেন না- সাজা স্থগিতের এই শর্ত শিথিল করা যায় কিনা, তা পর্যালোচনা করতে হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) হবে না। দ্রুত এ বিষয়ে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে গুলশানে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছিল। এখানে দুটি নির্দিষ্ট শর্ত দেওয়া ছিল। শর্তগুলো মেনে তারা স্থগিতাদেশ গ্রহণ করেছিলেন এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন।

সেই শর্তে বলা হয়েছিল, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারার কাজ যখন সম্পন্ন হয়েছে, তখন এটা নির্বাহী আদেশে হয়েছিল। এখন আদালতের কিছু করার নেই। এখন দেখতে হবে ৪০১ ধারায় যখন আমরা কার্যসম্পাদন করে দিয়েছি; সেক্ষেত্রে এ শর্তগুলো শিথিল করার কোনো সুযোগ আছে কিনা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর মহামারির ‍শুরুতে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print