
জেলার ফটিকছড়ি ও মীরশ্বরাই উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়লা বালুর মহালে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে উভয় উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফটিকছড়ি ও মীরশ্বরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা এবং এ দু’উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)এর নেতৃত্বে প্রশাসনিক টিম। তাদের সহযোগীতা করে জোরারগন্জ ও ভূজপুর থানা পুলিশ।
এ সময় জিলতলী,দমদমা ও শহিদপুরসহ কয়েকটি এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে ৬ টি ট্রাক ধ্বংস করা হয়।এ ছাড়া ৫ টি ড্রেজিং মেশিন, ২টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এ অভিযানে বালু উত্তোলনের সময় হাতে নাতে দুইজনকে আটক করে জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।তবে অভিযানে আগুন দিয়ে ট্রাক ও পিকআপ গাড়ী পুড়িয়ে দেয়াকে অমানবিক সিদ্ধান্ত বলে অনেকেই অভিযোগ করে।
জানা গেছে,বিগত ৪/৫ বছর যাবৎ কয়লা ও বালুর মহালটি ইজারাবিহীন রয়েছে।একটি চক্র হাইকোর্টে রিট দায়ের করে এখানে ইজারা বন্ধ করে রেখেছে।ফলে ইজারা ছাড়াই মহালটি থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি জিসান বিন মাজেদ বলেন,মীরশ্বরাই এবং ফটিকছড়ি উপজেলার যৌথ অভিযান এটি।এলাকাটি থেকে একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে; সাথে পাহাড়ও কাটা হচ্ছে। পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। কতেক ব্যক্তি লাভবান হলেও এখান থেকে সরকার এক টাকা রাজস্ব পাচ্ছে না। এলাকাটি দুই উপজেলায় পড়েছে।এ অভিযানে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু পরিবহনের দায়ে ৬ টি ট্রাক এবং পিকআপ অগ্নিসংযোগকরে ধ্বংস করা হয়েছে। ৫টি ড্রেজিং মেশিন এবং মোটরসাইকেল জব্দ করেছে মীরশ্বরাই উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া, হাতে নাতে দুজনকে আটক করে জোরারগন্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু তারা মীরশ্বরাই এলাকায় কাজ করছিল।এ ঘটনায় ভূজপুর এবং জোরারগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করবে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস।
তাছাড়া যেহেতু এখানে পাহাড় কাটা হয়েছে সেক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরকে আমরা সংযুক্ত করব।তারাও নিয়মিত মামলা করবে দায়ীদের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রশাসন পুরো এলাকাটি ম্যাপ করেছে । এটা স্হায়ীভাবে সিল করে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে সুপারিশ করা হবে।