ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে আক্রান্তদের মাঝে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের মাঝে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (বি. ১.৬১৭) এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে ১০ জন ভারত ফেরত রোগী ভর্তি আছেন তারা সবাই করোনা নেগেটিভ বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

আজ শনিবার রাতে সিভিল সার্জন পাঠক ডট নিউজকে বলেন এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।  ভারত থেকে আসা চিকিৎসাধীন কারো শরিরেও কোন ধরণের সংক্রামক পাওয়া যায়নি।  তারা সবাই নেগেটিভ।

.

এদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইয়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা ১০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে তাতে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের আধিক্য পেয়েছেন। 

গবেষক দলের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গত ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১০ জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে জিনোম সিকোয়েন্স করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা। এতে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের অধিক উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে আরও বেশি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্র অধিকতর পরিষ্কার হতো।’

১০টি নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোভিডে দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রামে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের আধিক্য ছিল। যদিও একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্টেরও উপস্থিতি ছিল। ১০টি নমুনার মধ্যে ছয়টিতে ইউকে ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.১.৭) এর উপস্থিতি মিলেছে। অপর তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টে (বি.১.৩৫১) এবং বাকি একটিতে অস্ট্রেলিয়া, আইসল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডের ভ্যারিয়েন্টের (বি.১.১.১৪২) উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে কোনও নমুনায় বর্তমানে ভারতে চিহ্নিত হওয়া ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.৬১৭) এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

দ্বৈচয়নের মাধ্যমে নেওয়া ১০টি নমুনার মধ্যে দুই নারীর। দুইজনের বয়স ছিল ২২ ও ২৪ বছর। বাকি ৮টি নমুনা পুরুষদের। যাদের বয়স ৩১-৬৪ বছরের মধ্যে। গবেষণার তথ্যে দেখা গেছে, আক্রান্ত যেসব রোগীর নমুনা নেওয়া হয় তাদের মধ্য পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। এদের মধ্যে ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তিনজন ছিলেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন দক্ষিণ আফ্রিকা ও অপরজন অস্ট্রেলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত ছিলেন।

এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ বলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রামে কোন ধরনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে তা জানার চেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা (সিভাসু) ১০টি নমুনার জীবন রহস্য উন্মোচন করে। এই গবেষণা কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের সঙ্গে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) দুইজন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন। ১০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে আমরা তাতে বর্তমানে ভারতে আক্রমণ করা ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.৬১৭) এর কোনও উপস্থিতি পাইনি।’

গবেষণায় অগ্রভাগে কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস ও অধ্যাপক শারমিন চৌধুরী। এতে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোরশেদ হাসান সরকার ও গবেষক মো. সেলিম খান। গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদিব দাশ, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমেদ নিজামী।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print