ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

`বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করায় মর্যাদা বাড়ল পুলিশের’-আমিনুল হক বাবু

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

আমিনুল হক বাবু

চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে পুলিশের মর্যাদা আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর আমিনুল হক বাবু।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের মিতু হত্যার পরপরই উল্লেখযোগ্য আসামিরা ধরা পড়েছিল। হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, মুছার নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডে তারা সাত-আটজন অংশ নেন। বাবুল চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের সময় মুছা তার ঘনিষ্ঠ সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।

‘এসব তথ্য আসার পর সন্দেহভাজন হিসেবে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবরও ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’

মানবাধিকার সংগঠনের নেতা আমিনুল হক বাবু বলেন, বাবুলের পদত্যাগের বিষয়ে পুলিশের প্রশাসন থেকে তখন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। এর ফলে বাবুলের দিকে সন্দেহের তীর যায়। অন্যদিকে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন মেয়ে হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছিলেন। কিন্তু বাবুলকে কিছুতেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছিল না। এমনকি তদন্তের গতি বাধাগ্রস্ত হয়। যার ফলে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছিল।

‘কিন্তু পুলিশের বর্তমান আইজিপি ড. বেনজির আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুলিশে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। এছাড়া মিতু হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার বিষয়ে উচ্চ আদালত কঠোর অবস্থান নেয়। এসব কারণে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত গতি পায়। সর্বশেষ আজ বুধবার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রধান জানিয়েছেন, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন তারা। এ কারণে মিতু হত্যায় বাবুলের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নতুন করে মামলা হবে। আর মামলায় প্রধান আসামি হবেন বাবুল আক্তার।’

‘এরপর অবশেষে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে আজ বুধবার পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় মিতুকে খুন করিয়েছেন বাবুল আক্তার। যা অত্যন্ত দুঃখজনক, কষ্টদায়ক। তবে আশার কথা এই যে, শেষ পর্যন্ত বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে দেশে একটি বড় উদাহরণ তৈরি হল যে, অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমি মনে করি, বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনায় পুলিশের মর্যাদা বহুগুণ বেড়ে যাবে, পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধা আরও বাড়বে।’ বলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি আমিনুল হক বাবু।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print