
সিআইডি কর্মকর্তা সেজে ২০১৫ সালে এক মানব পাচারকারীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে দেন তিনি! সেই মামলায় ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার মামলা প্রত্যাহারের চিঠিও আসে! কিন্তু পরে দেখা যায় সেটা ভুয়া।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর ও সিল জাল করে এটা করেছিলেন প্রতারক গিয়াসই! সেই ভয়ঙ্কর প্রতারক গিয়াস উদ্দিন (৪০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মধ্যরাতে নগরীর চৌমুহনীস্থ তার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। বর্তমানে মাদক ব্যবসায় জড়িত গিয়াস নাকা রুবেল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মাদক ক্রয়ের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, গিয়াসউদ্দিন ভয়ঙ্কর প্রতারক। তিনি বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। তিনি ২০১৫ সালে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচানোর কথা বলে আকবর নামে মানবপাচার মামলার এক আসামির পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গিয়াসের বিরুদ্ধে করা সিআইডি পরিচয়এ চাঁদাবাজীর মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিলমোহরসহ একটি চিঠি সিআইডি চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আসে। পরে তদন্ত করে দেখা যায় এটিও ভুয়া। এই ঘটনায় খুলশী থানায় গিয়াসকে আসামি করে ২০১৬ সালে আরেকটি মামলা করা হয়। বর্তমানে গিয়াস মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে।