
চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেইট সংলগ্ন ৮ নম্বর ইয়ার্ডে রাখা কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্দরের সদস্য লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২২ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা বড় ধরনের কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নয়। অল্প একটু আগুনের অস্তিত্ব দেখার সাথে সাথে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। পাশাপাশি ঝুঁকি দূর করতে বাকি কনটেইনারগুলোও সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। তবুও বিষয়টি তদন্ত করতে বন্দরের সদস্য ল্যাফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
এর আগে সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে রক্ষিত কেমিক্যাল-বোঝাই একটি কনটেইনারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সকাল সাড়ে ১০ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন লাগা কনটেইনারটি ১৩ দিন আগে চায়না থেকে এসেছে। নন-এনিমেল হেলথ প্রোডাক্টসস নামের একটি প্রতিষ্ঠান পণ্যভর্তি কনটেইনারটি আমদানি করেছে।
শনিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।অতিরিক্ত তাপের কারণে কনটেইনার স্লটে থাকা অক্সিজেন সাপ্লিমেন্ট ফিশ পন্ডস সোডিয়াম কার্বনেট ট্যাবলেট পণ্যবাহী কন্টেইনার (FCIU 5639268) অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়ে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা স্লট হতে কন্টেইনারগুলো সরিয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনারটি নিরাপদে ৪ নম্বর গেইট সংলগ্ন খালি একটি ইয়ার্ডে নিয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বন্দরে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে একঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনে। একটি কনটেইনারের ক্ষতি হয়েছে। বাকিগুলো অন্য ইয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।