অপ্রত্যাশিত পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা। মহানগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে অফিস কর্মস্থলগামী মানুষ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষাথীরা যানবাহন না পেয়ে বিপাকে পড়েন।
মঙ্গলবার ভোর থেকে চট্টগ্রামসহ ৫ জেলায় ২৪ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবশন শ্রমিক ফেডারেশন। এর ফলে বাস-ট্রাকসহ সব ধরণের দুরপাল্লা এবং অভ্যন্তরীণ যানবাহন,পরিবহণ গাড়ি বন্ধ রয়েছে।
একই দিনে পৃথকভাবে ধর্মঘট পালন করছে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা। ফলে বাস ট্রাকের পাশা
সকাল থেকে নগরীর আগ্রাবাদ, বন্দর হালিশহর, দেওয়ানহাট, কদমতলী বাস টার্মিনাল, ষ্টেশন রোড, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর বহদ্দাহাট কাতালগঞ্জ ঘুরে যানবাহনের জন্য অপেক্ষামান সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে।
সকাল থেকে চট্টগ্রাম থেকে কোনো দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। বন্ধ রয়েছে নগরীর অভ্যন্তরে চলাচলকারী অটোরিকশা ও টেম্পু।
ধর্মঘটের সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে রিকশা চালকেরা। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে বিভিন্ন স্পটে রিকশা চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ছাড়াও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
সকাল থেকে নগরীর ২ নম্বর গেইট, অক্সিজেন মোড়, বহদ্দার হাট, অলংকার,কদমতলি, একেখান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোনো ধরনের গণপরিবহন চলাচল করছে না। এসব স্পট গুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে ৯টা দিকে মুরাদপুর মোড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষামান রোকমানা রহমান জানান, পরিবহণ ধর্মঘটের কথা শুনে অর্ধঘন্টা আগে বাসা থেকে বেরিয়েও এখনো অফিসে যেতে পারিনি। তিনি জানান, একটি বেসরকারী ব্যাংকে কাজ করেন তিন। কোন সিএনজি বাস টেম্পু না পেয়ে রিক্সায় ডেতে চাইলেও ৬০/৭০ টাকার ভাড়া রিক্সাওয়ারা দাবী করছে দেড়শ টাকা। রোকসানার মত আরো অসংখ্য যাত্রীকে এভাবে দুর্ভোগের কথা বর্ণনা করে। তারা এ পরিবহণ ধর্মঘটের জন্য প্রশাসন এবং শ্রমিকদের দায়ি করেন।
উল্লেখ্য ৯দফা দাবীতে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ২৪ ঘন্টার পরিবহণ ধর্মঘট পালন করছে পরিবহণ শ্রমিকদের একাংশ। ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছেন পরিবহণ শ্রমিকলীগ নামে অপর একটি শ্রমিক সংগঠন। এ ধর্মঘট চলবে আগামীকাল বুধবার ভোট ৬ টা পর্যন্ত।
ধর্মঘট আহবানকারী বাংলাদেশ সড়ক পরিবশন শ্রমিক ফেডারেশন আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা পাঠক ডট নিউজকে জানান, ভোর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট চলছে। এখনো পর্যন্ত কোন ধরণের অপ্রীতিকর কোন কিছু হয় নি। শ্রমিকরা স্বত:স্ফুতভাবে যানবাহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে।
