জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গণতান্ত্রিক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখতেই গৃহবন্দি করে রেখেছে অগণতান্ত্রিক সরকার। তিনি করোনা পরবর্তী নানা শারীরিক জটিলতায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার নানা তালবাহানায় তাকে দেশের বাইরে নিতে বাঁধা দিচ্ছে। এই সরকার একদলীয়ভাবে দেশ শাসন করছে। তারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করেছে। দেশে আইনের শাসন নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, মানবিকতা নেই, আছে স্বৈরতন্ত্র, নির্যাতন, নিপীড়ন, দূর্নীতি ও দুঃশাসন। বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ মুক্তির মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন ফিরে আসবে।
তিনি রবিবার (১৩ জুন) বিকালে লালখান বাজার হাইলেভেল সড়কস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সাথে মতবিনিময় সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মহান স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী হওয়ার পরও সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। পরিকল্পিতভাবে বন্দি রেখে জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। তাই দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বেগম খালেদা জিয়াকে পরিপূর্ণ মুক্ত করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করার শপথ নিতে হবে।
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব এম এ কাশেমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জিসপ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর রহমান ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম, জিসপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন আনসারী, দপ্তর সম্পাদক কাজী ফখরুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক বশিরুল ইসলাম খান।
বক্তব্য রাখেন জিসপ চট্টগ্রাম মহানগর সহ সভাপতি মো. ইলিয়াস মজুমদার, মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, সখিনা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুল্লাহ চৌধুরী সাকিব, মিজানুর রহমান রাজু, নুর হোসেন প্রমূখ।
