ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চন্দনাইশে চুরির অপবাদ দিয়ে বয়স্ক দম্পতিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে শহর থেকে ডেকে নিয়ে পরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক দম্পতিকে আটকে রেখে বিভৎস নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

গত (১৬ জুন) সোমবার জেলার চন্দনাইশের মোহাম্মদপুর কাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার হামিদা আক্তার (৪২) ও আবদুল হাকিম (৬০) নামে ওই দম্পতি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

নির্যাতনের পর থানায় গেলেও মামলা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির। পরে ভুক্তভোগিরা চট্টগ্রাম আদালতে জ্যুডিমিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার কোর্টে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আবদুচ ছাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন বিচারক বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে হিসেবে নথিভুক্ত করতে চন্দনাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে দায়ের করা মামলারন বিবরণে জানা যায়,গত ১২ জুন নির্যাতিত দম্পতির চাচী মৃত্যুবরন করলে তারা সেখানে দাফন কাজে অংশ নেন। দাফন শেষে উক্ত দম্পতি শহরের মির্জাপুল এলাকায় নিজেদের বাসায় চলে আসেন। এরপর ১৬ জুন মামলার অভিযুক্তরা শহরে এসে চাচীর মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে নির্যাতিত দম্পতিকে গাড়ীতে করে চন্দনাইশে নিয়ে যান।

.

নির্যাতিতরা জানান,চন্দনাইশে পৌঁছে তাদেরকে চাচীর বাড়ীতে না নিয়ে পাশের চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশুর ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানের স্বর্ণের চেইন চুরির অভিযোগ আনা হয়।

ভিকটিম দম্পতি স্বর্ণের চেইন চুরির বিষয় অস্বীকার করলে দুজনকে বাড়ীর দ্বিতীয় তলার আলাদা দুটি কক্ষে নিয়ে পিছমোড়া বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় একদিন এক রাত ধরে নির্যাতন করা হয়। এসময় অভিযুক্ত চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশু,মিজানুর রহমান, কে এম ইলিয়াছ প্রকাশ ফিরোজ, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানসহ মিলে বৈদ্যুতিক পাইপ, লোহার রড ও লাটি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক নির্যাতন চালায়।

এ ছাড়া প্লাস দিয়ে ভিকটিম হামিদা আক্তারের পায়ের আঙ্গুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়। নির্যাতনের শিকার হামিদা আকতার বলেন চুরির বিষয়ে অস্বীকার করলেও তারা তার শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্নস্থানে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পিটিয়ে জখমসহ ইলেকট্রিক সর্ট দেয়। অন্যরুমে তাঁর স্বামী আবদুল হাকিম (৬০)কেও একই কায়দায় নির্যাতন করা হয়।

এক পর্যায়ে হামিদা আকতারকে জোর পূর্বক নেশা জাতীয় টেবলেট খাওয়ানোর পর শিকারোক্তি আদায়ের প্রচেষ্টা করা হয়। এসময় নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অপরাধ না করেও স্বর্ণের চেইন চুরির বিষয়ে স্ট্যাম্পে স্বীকারোক্তিমুলক অঙ্গিকার দেন এ দম্পতি।

এ খবর তাদের ভাই টিপুকে না বলতে ভয় দেখানো হয়। পরে ভিকটিমের ভাই টিপু সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় একদিন পর এ দম্পতিকে উদ্ধার করেন।

নির্যাতিত আবদুল হাকিম বলেন, এ ঘটনার পর চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। এ ছাড়া অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং কোন প্রকার মামলা না করতে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন,যদি তাদের স্বর্ণ চুরি হয়ে থাকে তাহলে তারা থানায় মামলা করতে পারেন। কিন্তু কোন প্রকার আইনের আশ্রয় না নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে মিথ্যা কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এভাবে নির্যাতন করা ঘটনার বিচার দাবী করেন।

এদিকে এ ব্যপারে অভিযুক্ত কে,এম ইলিয়াছ মিয়া প্রকাশ ফিরোজ বলেন, স্বর্ণ চুরির ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতেই এ দম্পতি ও তাদের আত্মীয়রা মিলে নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদেরকে কোন প্রকার মারধর করা হয়নি। স্বর্ণ চুরির বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। কোর্টের নির্দেশনা পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print