
চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের মোগলটুলীতে ১০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে নকশাবর্হিভূত ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করায় ভবনের বাড়তি ৪ তলা ভেঙ্গে দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সিডিএ স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলমের নেতৃত্বে দুপুর ১২টা থেকে ৫০ জন শ্রমিক দিয়ে সানমার ইয়াকুব টাওয়ারে (সামার হোল্ডিং) ভাঙন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল আলম বলেন, অনুমোদনের সময় ভবনটি ১০ তলার করার কথা ছিল। কিন্তু আবাসিক প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনের বাইরে গিয়ে ১৪ তলা নির্মাণ করেছে। এমনকি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন। আজ ভবনের নকশার বহির্ভূত অংশটুকু ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
অভিযানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অথরাইজড অফিসার-২ মো. হাসান, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. ওসমান, পেশকার ফয়েজ আহামদ, ইমারত পরিদর্শক এবং ৫২ জন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে অভিযানটি চলমান রয়েছে।

সিডিএ সূত্র জানায়, ভবনটির মালিক মো. জানে আলম ১০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে ‘সামার হোল্ডিং’ নামের একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান সানমার ইয়াকুব টাওয়ার ভবনটি নির্মাণ করে। নকশা বর্হিভূতভাবে বাড়তি আরও ৪ তলা ভবন নির্মাণ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সিডিএ অথরাইজড অফিসার-২ থেকে জানে আলমকে চিঠি পাঠিয়ে সাবধান করে দেওয়া হলে তিনি উল্টো সিডিএর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করেন। যেখানে আদালতে সিডিএ থেকে ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জাল অনুমোদন পত্র প্রদান করেন তিনি।
পরবর্তীতে আদালতে তার জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণ হয়। অনুমোদন পত্র ব্যবহারের দায়ে তারই করা মামলায় আদালত তাকে দু’মাসের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২ মাস হাজত বাসও করতে হয় জানে আলমকে। পরবর্তীতে সিডিএ নির্দেশনা অমান্য করে ভবনের নির্মিত বাড়তি তলাগুলো ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অথরাইজড অফিসার-২ মো. হাসান বলেন, ‘আমরা ভবনটি ১০ তলা পর্যন্ত নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানটি ১৪ তলা নির্মাণ করেছে। চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক করেছিলাম। কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় নকশার বহির্ভূত অংশটুকু ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’