
খুলনার তিনটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন, খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুই জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরো ১০ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টার মধ্যে হাসপাতালে করোনা আইসোলেশনে ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন করোনায়, আটজন উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন। এই ১০ জনের মধ্যে চারজনেরই বাড়ি করোনার হটস্পট রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নাটোরের চারজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান,গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা করোনা হাসপাতালে রেড জোনে ৯ জন ও ইয়ালো জোনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন, আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন। আর আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন। খুলনার ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ১৬০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- বাগেরহাটের কাশিমপুরের আতিয়ার রহমান মল্লিক (৬৫) ও সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের অলি উল্লাহ্ (৬৭)। গত ২৪ ঘন্টায় এ হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন। ভর্তি ছিলেন ৬৮ জন, এর মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার ১ নম্বর নেভিগেট এলাকার শামসুল আলম (৬৩), সাতক্ষীরার পালাশপুরের আব্দুস সামাদ (৭৫), নড়াইলের নড়াগাতীর মৌলি এলাকার ঝর্ণা বেগম (৪৬)। ৮৮জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তার মধ্যে ৬ জন আইসিইউ এবং ৫জন এইচডিইউতে। এছাড়া সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন আবার নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৯জন।