ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চন্দনাইশে মিথ্যা অপবাদে বয়স্ক দম্পতিকে নির্যাতনের মামলা নিয়ে পুলিশের লুকোচুরি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মিথ্যা চুরির অপবাদে বয়স্ক দম্পতিকে নির্যাতনের মামলা নিয়ে লুকোচুরির খেলার অভিযোগ উঠেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

গত ৬ জুন সংঘঠিত ঘটনায় পুলিশকে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করতে কোর্ট নির্দেশ দিলেও গত পাঁচ দিনেও মামলার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি চন্দনাইশ থানা পুলিশ। উল্টো মামলার বাদীসহ ভিকটিমের পরিবারকে মামলা আপোষ মিমাংসা করতে নানাভাবে হুমকি ধমকিসহ চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।  মামলার অভিযুক্ত আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রান ভয়ে এলাকায়ও যেতে পারছেনা ভিকটিমের পরিবার।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদী ভিকটিম হামিদা আকতারের ভাই ফারুক ইকবাল টিপু।

আরও খবর: চন্দনাইশে চুরির অপবাদ দিয়ে বয়স্ক দম্পতিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচাত ভাইরা মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে গত ১৬ জুন তাঁর বোন হাদিা আকতার ও ভগ্নিপতি আবদুল হাকিমকে শহর থেকে চন্দনাইশে চাচাতভাই গোলাম আজাদ শিশুর ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানের স্বর্নের চেইন চুরির অভিযোগ আনা হয় । ভিকটিম দম্পতি স্বর্ণের চেইন চুরির বিষয় অস্বীকার করলে দুজনকে বাড়ীর দ্বিতীয় তলার আলাদা দুটি কক্ষে নিয়ে পিছমোড়া বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশু, মিজানুর রহমান, কে এম ইলিয়াছ প্রকাশ ফিরোজ, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খান মিলে বৈদ্যুতিক পাইপ, লোহার রড, ও লাটি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিরা পর দিন ১৭ জুন চন্দনাইশ থানায় মামলা করতে গেলে অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ দুদিন ঘুরানোর পরও মামলা নেয়নি।

.

পর ভুক্তভোগিরা চট্টগ্রাম আদালতে জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার কোর্টে সিআর মামলা(১৯৪/২০২১) দায়ের করেন। বিচারক বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে হিসেবে নথিভুক্ত করতে চন্দনাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও বিগত পাঁচ দিনেও পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেনি। উল্টো মামলার আসামীদের সাথে আতাঁত করে মামলার বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি ধমকিসহ চাপ প্রয়োগ করতে অব্যাহত রেখেছে। পুলিশের এমন পক্ষপাত মুলক আচরনে এ ঘটনার ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত ভিকটিমের পরিবার। পাশাপাশি জীবনেরর নিরাপত্তা নিয়েও আশংকায় রয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, প্রকৃত পক্ষে স্বর্ণ চুরির কোন ঘটনা না ঘটলেও নিছক পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই তাঁর চাচাত ভাইরা এ ঘটনা ঘঠিয়েছে। এলাকায় নিজেদের পৈত্রিক সম্পদ আত্মসাৎ করার মানসেই চুরির অপবাদ দিয়ে পুরো পরিবারকে এলাকা ছাড়া করতেই এমন মিথ্যা বানোয়াট কল্প কাহিনী সাজিয়েছে। ফারুক ইকবাল টিপু বলেন, পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন না করে উল্টো অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে নানাভাবে নাজেহাল করছে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। এসময় ভিকটিম হামিদা আকতার, আবদুল হাকিম, বোন নাজমুন আকতার, ফারজানা আকতারসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এক দিন একরাত আটকে রেখে বয়স্ক এ দম্পতিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর ভিকটিম হামিদা আকতারের শরীরের পছন ধরেছে। অনেকটা পঙ্গুত্বের দিকে এগুচ্ছে তার শারিরীক অবস্থা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতরর জখম নিয়ে বর্তমানে বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি। একই অবস্থা হামিদার স্বামী অপর ভিকটিম আবদুল হাকিমেরও।

.

উল্লেখ্য গত ১৬ জুন চাচীর মেজবানি অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা বলে শহর থেকে ডেকে নিয়ে পরে চুরির অপবাদ দিয়ে হামিদা হাকিম দম্পতিকে আটকে রেখে বিভৎস নির্যাতন তাদের চাচাত ভাইরা। এসময় অভিযুক্ত চাচাত ভাই গোলাম আজাদ শিশু, মিজানুর রহমান, কে এম ইলিয়াছ প্রকাশ ফিরোজ, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী রিফা খানসহ মিলে বৈদ্যুতিক পাইপ, লোহার রড, ও লাটি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ছাড়া প্লাস দিয়ে ভিকটিম হামিদা আক্তারের পায়ের আঙ্গুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়। নির্যাতনের শিকার হামিদা আকতার বলেন চুরির বিষয়ে অস্বীকার করলেও তারা তার শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্নস্থানে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পিটিয়ে জখমসহ ইলেকট্রিক সর্ট দেয়। অন্যরুমে তাঁর স্বামী আবদুল হাকিম (৬০)কেও একই কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে হামিদা আকতারকে জোর পূর্বক নেশা জাতীয় টেবলেট খাওয়ানোর পর শিকারোক্তি আদায়ের প্রচেষ্টা করা হয়। এসময় নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অপরাধ না করেও স্বর্নের চেইন চুরির বিষয়ে স্ট্যাম্পে শিকারোক্তিমুলক অঙ্গিকার দেন এ দম্পতি। পরে ভিকটিমের ভাই টিপু সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় একদিন পর এ দম্পতিকে উদ্ধার করে নির্যাতনের শিকার হামিদা আক্তার (৪২) ও আবদুল হাকিম (৬০ কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করান।

সংবাদ সম্মেলনে টিপু বলেন, যদি তাদের স্বর্ণ চুরি হয়ে থাকে তাহলে তারা থানায় মামলা করতে পারেন। কিন্তু কোন প্রকার আইনের আশ্রয় না নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এভাবে নির্যাতন করা ঘটনার বিচার দাবী করেন। এদিকে এ ব্যপারে অভিযুক্ত কে. এম ইলিয়াছ মিয়া প্রকাশ ফিরোজ বলেন, স্বর্ণ চুরির ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতেই এ দম্পতি ও তাদের আত্মীয়রা মিলে নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদেরকে কোন প্রকার মারধর করা হয়নি। স্বর্ন চুরির বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। কোর্টের নির্দেশনা পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print