
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার উচ্ছেদের চক্রান্ত আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার বহি:প্রকাশ। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই মুহুর্তে দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামীলীগ ২০টি আসন পাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
তিনি শনিবার বিকাল চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার ঈদগাঁহ বৌ বাজারস্থ দুলহান কমিউনিটি সেন্টারে ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নোমান বলেন, সরকার কুটকৌশলের অংশ হিসেবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাবকে দামাচাপা দেওয়ার জন্য এই মূহুর্তে শহীদ জিয়ার মাজার উচ্ছেদের চেষ্টা করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের চক্রান্ত সফল হবে না। জিয়ার মাজার হস্তান্তরের অপচেষ্টা করলে তাঁর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
নোমান তৃর্ণমূলের বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকল ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করুন। যারা বিএনপিকে দূর্বল মনে করে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। গণ-আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না, তবে অনেক সময় দীর্ঘায়িত হয়। আন্দোলনে আমাদের বিজয় অবশ্যই হবে। নোমান বলেন, শহীদ জিয়া চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, বীর চট্টলা হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাঘার। চট্টগ্রাম থেকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পূনরুদ্ধার করার আরেকটি সংগ্রাম আমাদের শুরু করতে হবে। জেল, জুলুম, হামলা, মামলাকে আলিঙ্গন করে যারা সামনে থাকতে পারবে তাঁদেরকেই ওয়ার্ড এবং থানা কমিটিতে নেতৃত্বে আনা হবে।

ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম. নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
রামপুর বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর বাবুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রামপুর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইদুল আলম, বিএনপি নেতা মো. শরীফুল ইসলাম, মো. হাসান, মো. হায়দার, ডা. এছাক, শফিকুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মো. বেলাল প্রমুখ।
এছাড়া কর্মী সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর, হালিশহর ও পাহাড়তলী থানা এবং রামপুরা ওয়ার্ডের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল ও শ্রমিকদল নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।