
কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়ি জোন এলাকায় ২টি অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার এবং ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার ভোররাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত টানা প্রায় ৫ ঘন্টার এ অভিযানের পর বিকালে চট্টগ্রামের র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনর্চাজ মেজর মোহাম্মদ হাসান তারিক জানান,দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষন ও গোয়েন্দা তৎপরতার এক পর্যায়ে র্যাব-৭ জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন চিরিংগা ইউনিয়নের চরনদ্বীপ দোলখালীপাড়ায় কতিপয় সংঘবদ্ধ অস্ত্র ব্যবসায়ী ও অস্ত্র তৈরীর কারিগর সহ দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করে এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ও ডাকাতদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে আসছে এবং এ সমস্ত অস্ত্র দিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পাশ্ববর্তী এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, মুক্তিপন, অপহরন ও ডাকাতিসহ বিভিন জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভোর ৪টা হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত আমি মেজর মাহমুদ হাসান তারিক, সিনিয়র এএসপি শাহেদা সুলতানা এবং এএসপি সৈয়দ মোহসিনুল হক এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযান পরিচালনা শুরু করলে অস্ত্র তৈরীর কারিগররা দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে।

র্যাব সদস্যরা তাদেরকে কৌশলে ঘিরে ফেলে। এবং প্রথমে ৫ জনকে আটক করে পরে আরো একজনকে আটক করার পর তাদের দেখানো মতে দুটি অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধ্যান পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৮টি এক নলা বন্দুক, একটি দুই নলা বন্দুক, দুইটি ৩০৩ দেশীয় রাইফেল, একটি ২২ দেশীয় রাইফেল, ৮টি ওয়ান শুটারগান, ৪৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৪ রাউন্ড ৩০৩ দেশীয় রাইফেলের গুলি, ৩টি পোচ, ২টি পোচ বেল্ট উদ্ধার করে।
এছাড়া ২টি লেদ মেশিন, একটি হাত ড্রিল, ২টি হেক্সা মেশিন, ৩৭টি হেক্সাব্লেড, ৩টি ট্রিগার গার্ড, একটি বাট, চারটি পাইপ, ব্যারেল, ৩টি হাতুড়ি, বেশ কিছু স্ক্রু ড্রাইভার, রেত, কাটিং মেশিন, বিশেষ ধরনের প্লাস, বাটাল, নাট,ভোল্ট ইত্যাদি অস্ত্র তৈরীর মেশিন ও যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মান্নান (৩৫), আইয়ুব খান (২৭), নুরুল আলম (৫০), মহিউদ্দিন মহিন মিয়া (২৪), জোনুয়ারা বেগম (৩৮), নুরল্লা (৪৫)।