ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আইজিপি’র কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মিথ্যা মামলায়  চট্টগ্রামের এজহার মিয়া নামে এক অটো রিক্সা মালিককে ফাঁসিয়ে জেল খাটানোর ঘটনায় প্রতিবেদন না দেয়ায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে এই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

মামলার বিবরণে জানাগেছে, চট্টগ্রামে একটি অটোরিকশা চুরির পর সেটি উদ্ধার করলেও তা ফিরিয়ে দিতে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। দাবী অনুযায়ী দুই লাখ টাকা ঘুুষ দিতে না পারায় গাড়ীর মূল মালিক সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা এজহার মিয়াকে তার উদ্ধার করা সিএনজি ফেরত দেয়নি পুলিশ।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা এজাহার মিয়ার করুণ কাহিনী।

এ নিয়ে এজাহার চট্টগ্রামের তৎকালিন ডিসি ট্রাফিক কুসুম দেওয়ান, টিআই মীর নজরুল ইসলাম, সার্জেন্ট মামুনুল হককে আসামী করে আদালতে মামলা এবং গাড়ি ফেরত পাওয়ার আবেদন করেন। আর এতেই তার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। আদালতের নির্দেশের পরও পুলিশ গাড়ি ফেরত দেয় নি। উল্টো একাধিক মামলার আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় মুক্তিযোদ্ধা এজাহারের নামে।

এসব মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে বেশ কয়েক বছর জেল খাটেন এ মুক্তিযোদ্ধা। পরে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বের হলেও পুলিশী হয়রানী এবং মামলা মোদ্দমার ঝামেলায় মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে রোগশোকে মারা যান তিনি।

পরে অবশ্য মামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা আইজিপিকে চিঠি লিখে জানান, তার উর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তার নির্দেশে এই মামলা দিতে বাধ্য হন তিনি।

পরে পিতার মৃত্যুর পর হাইকোর্টে আবেদন করেন তার ছেলে শওকত হোসেন আলী। এরপর হাইকোর্ট আইজিপির কাছে প্রতিবেদন চায়। কিন্তু সে প্রতিবেদন তিনি জমা না দিয়ে সময় আবেদন করেন। এরপর আইজিপির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

এই বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানিনে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নূর মোহাম্মদ আজমি।

ঘটনার ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, চট্টগ্রামের বারকোয়াটার থেকে ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি এজহার মিয়া নামে এক চালকের অটোরিকশা (চট্টমেট্রো থ-১১-৬৮৫১) হারিয়ে যায়। ওই দিনই তিনি পাহাড়তলি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর তিনি বিআরটিএ- এর মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তার অটোরিকশাটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বাহনটি ফিরে পেতে পাহাড়তলি থানায় আবার একটি আবেদন করেন।

yzm_123939
.

এরপর পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর একটি আবেদন করেন। পুলিশও ওই অটোরিকশাটি এজাহার মিয়ার তা সঠিক বলে প্রতিবেদন দেয়। পরে সেটি পরীক্ষার জন্য বিআরটিএতে পাঠানো হয়। বিআরটিএ অটোরিকশাটি এজাহার মিয়ার বলে প্রতিবেদন দেয়।

তার পরও সে তার অটো ফেরত না পেয়ে ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আর ্মামলার কারণে উল্টো এজাহারে বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ফিরোজ কবির একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি আটক হয়ে কিছু দিন কারাগারেও ছিলেন। এরপর কারাগার থেকে বের হলে পুলিশ আপোষরফার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারকে জানানো হয় এজাহারের মৃত্যু হয়েছে।

পরে বাদী ফিরোজ কবির পুলিশের আইজি বারবর একটি চিঠি দিয়ে বলেন, এজাহার মিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি ভুয়া ছিল। ওই চিঠিতে তিনি বলেন, তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন এজাহার মিয়া। ওই আবেদন করায় চট্টগ্রাম মহানহর পুলিশের সে সময়ের উপকমিশনার কুসুম দেওয়ান ও ট্রাফিক ইনস্পেক্টর টিআই নজরুল ইসলাম তাকে চাপ দিয়ে এজাহার মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করান। তিনি লিখেন মামলা না করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে ছেলে শওকত জানান, গত বছরের (২০১৫) ৬ এপ্রিল এ নিয়ে মীমাংসা করার কথা বলে সকাল ১০টায় পুলিশ ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু দুইঘন্টা পরে বলা হয় আমার বাবা মারা গেছে। খবর পেয়ে শওকত দ্রুত গোলাপাহাড় এলাকার একটি ক্লিনিকে গেলে ক্লিনিকের নীচে টুলের উপর তার বাবার লাশ দেখেন। তিনি আরো জানান, আমার বাবার লাশ দাফন করতেও সাদা পোশাকের পুলিশ প্রহরা ছিল।

জানাগেছে, পুলিশের যে দুই কর্মকর্তার নির্দেশে সার্জেন্ট ফিরোজ কবির এই মামলা দিয়েছিলেন তারা এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে কাজ করছেন।

এরপর এজাহার মিয়ার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ক্ষতিপূরণসহ অটোরিকশা ফেরত পেতে এবং পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদান এবং অটোরিকশা আত্মসাতে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তারাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ জুন পুলিশের আইজিপিকে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এতে একজন যোগ্যতা সম্পন্ন পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু প্রতিবেদন জমা না দিয়ে তিন মাসের সময় চায় আইজিপি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print