
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগের সাবেক ডীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ্ উদ্দিন ইন্তকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজেউন)।
আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাতে ৮টার দিকে রাজধানীর সিকদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাবেক ডীন প্রফেসর ডঃ সালেহ উদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
তাঁর ছেলে তানভীর সালেহীন গাজী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন-গত ২১ জুলাই থেকে তিনি করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন।অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে গত শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছিল। করোনার নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর গত ৩০ জুলাই তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার গুলশানের শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।আইসিইউ থাকা অবস্থায় তিনি আজ রাত ৮টার দিকে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। চট্টগ্রামের প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে তার লেখা বইয়ের তথ্যকে দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রাম। শহীদ পরিবারের সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলীর পাঞ্জাবী লেন এলাকায়।
ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
এক শোক বার্তায় তারা বলেন, অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী, নির্লোভ-নিরঅহংকারী, সদা হাস্যোজ্জ্বল সর্বোপরি একজন গুণী শিক্ষক। জাতির পিতার আদর্শের অকুতোভয় এ সৈনিক দেশের যে কোন প্রগতিশীল আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন করছি।
অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রামের প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে তার লেখা বইয়ের তথ্যকে দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।