
চট্টগ্রামে নিজ বাসায় বসে করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের বাসায় টিকা নেয়ার একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে গতকাল রবিবার গভীর রাতে এবং আজ সোমবার সকালে ২ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন টিকা গ্রহণকারী মো. হাসান ও সহায়তাকারী মোবারক আলী।
খুলশী থানা-পুলিশ জানায় আটক মো. হাসানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম এলাকার ভোকাইয়া গ্রামে। সহায়তাকারী মোবারক স্থানীয় ইউসুফ আলী বাড়ির মোহাম্মদ আলীর পুত্র। তাকে আটক করা হয় আজ সকালে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘বাসায় বসে টিকা নেওয়ার ঘটনায় মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এরপর রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসানের বাসা জাকির হোসেন রোডে। তিনি সেখানে বসে টিকা গ্রহণ করেন।’ ওসি আরও বলেন, হাসান ব্যবসায়ী। তাঁর বন্ধু সাজ্জাদও একইভাবে বাসায় টিকা নিয়েছেন। হাসান, মোবারক ও সাজ্জাদ তিনজনের বাসা জাকির হোসেন রোডে। আমরা এর সাথে জড়িত বাকিদের আটক করবো।
খুলশী থানার পরিদর্শক আফতাব হোসাইন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শনিবার এমডি হাসান নামের আইডি থেকে বাসায় টিকা নেয়ার একটা ছবি পোস্ট করা হয়।
পোস্টে ওই ব্যক্তি লিখেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু মো. মোবারক আলীকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে সহায়তা করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ মডার্নার প্রথম ডোজ সম্পন্ন।’
পুলিশ কর্মকর্তা আফতাব বলেন, ‘বাসায় টিকা নেয়ার ছবিসহ ফেসবুক স্ট্যাটাসটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসলে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করি। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।‘প্রাথমিকভাবে তার এক ব্যাংকার বন্ধুর মাধ্যমে বাসায় টিকা নিয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা সেই বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কে টিকা দিলেন, কে নিলেন, এর পেছনে কারা রয়েছেন—সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। এর সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীকেও খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এভাবে বাসায় বসে টিকা নেওয়া ও দেওয়া অপরাধ।