
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৫ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ফের মৃত্যুর রেকর্ড ছুঁয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেলো। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৩ হাজার ১৬১ জন।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬৪ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জনে। এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশে করোনায় ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা ছিল একদিনে দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৯০৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৮ হাজার ৪১৬টি, আর ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৪২৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮২ লাখ ১২ হাজার ৪১টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৬০ লাখ ৬৪ হাজার ১৫১টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ২১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৬৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫৪ জন, আর নারী ১১০ জন। তাদের নিয়ে দেশে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং নারী মারা গেলেন সাত হাজার ৭৭৭ জন।
অধিদফতর জানাচ্ছে, তাদের মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৮৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয় জন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন এক শিশু রয়েছে।
মারা যাওয়া ২৬৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬০ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৫ জন, খুলনা বিভাগের ২৭ জন, বরিশাল বিভাগের ১১ জন, সিলেট বিভাগের ১৭ জন, রংপুর বিভাগের ১৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ১৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬২ জন এবং বাড়িতে ১০ জন।