
চট্টগ্রাম বন্দরের হালিশহরস্থ ‘বে-টার্মিনাল’ এলাকা পরিদর্শন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা দেড়টায় পিরদর্শনকােল মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও মিসেস সুলতানা আফরোজ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম ও সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখানে বে টার্মিনাল হবে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। ইতিমধ্যে টাইমলাইন ঠিক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর এখানে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু করবে৷ জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। মাটি ভরাটের কাজ হয়তো স্লো হচ্ছে। বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী বে টার্মিনাল নির্মাণে উচ্ছ্বসিত ছিল। কোভিডের কারণে কিছুটা সময় লাগছে।

উল্লেখ্য, হালিশহর সাগর উপকুলে আড়াই হাজার একর ভূমিতে বে টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। এই টার্মিনাল গড়ে তুলতে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৮ একর, সরকারি ৮৭১ একর জায়গা ছাড়াও সাগর ভরাট করা হবে। বন্দরে সর্বোচ্চ সাড়ে নয় মিটার ড্রাফটের জাহাজ বার্থিং নিতে পারে। বে টার্মিনালে জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব ১৪ মিটার ড্রাফটের। এ টার্মিনালের চ্যানেল এবং ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করতে হবে। ব্যয়বহুল এই দুইটি কাজের অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এতে মোট তিনটি টার্মিনাল থাকবে। প্রতিটি টার্মিনালে ৩০০ মিটার লম্বা ছয়টি জেটি থাকবে। প্রতিটি টার্মিনালে একইসাথে ছয়টি জাহাজ বার্থিং দেয়া যাবে। তিনটি টার্মিনালের প্রথমটি বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। বাকি দুইটি টার্মিনাল আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পিপিপি ভিত্তিতে নির্মাণ করা হবে। এই দুইটি টার্মিনালে বিওটি (বিল্ড অপারেট এন্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে টার্মিনাল নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হবে। তারা টার্মিনালটি নির্মাণ করে ইক্যুপমেন্ট স্থাপনসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত নিজেরাই পরিচালনা করবে। ২০২৪ সালের আগেই এ টার্মিনাল চালু করতে চাই সরকার।