ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বিশিষ্ট নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডাঃ এল এ কাদেরী আর নেই

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউরোসার্জন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারী বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. এল. এ. কাদেরী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রবিবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ১১টায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌর এলাকার ফটিকা কড়িয়ার দিঘীর পাড় আব্দুল লতিফ উকিল বাড়ির মরহুম আব্দুল লতিফ উকিলের পুত্র ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহি সদস্য সাপ্তাহিক ইজতিহাদ পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকতের বড় ভাই।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সুরাইয়া কাদেরী, পুত্র ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ কাদেরী, ছোট দুই ভাই সাংবাদিক-মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ও আবুল মোহসেনাত কাদেরী (সেখু) সহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী এবং শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

রবিবার আজ বাদ আছর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মাঠে তাঁর প্রথম জানাজা এবং বাদ এশা নগরীর দেওয়ান বাজার ফকির মোহাম্মদ জামে মসজিদ দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এছাড়া আগামীকাল সোমবার সকাল ১১ টায় নগরীর জামিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তৃতীয় জানাজা এবং বাদ আছর হাটহাজারীর ফটিকাবাদ সরকারি রহমানিয়া (প্রাঃ) বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

কর্মজীবনে অসংখ্য সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বি এম এ) চট্টগ্রাম শাখার দু’বার নির্বাচিত সভাপতি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব সার্জনস্ এর সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন’ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি, বহুবার চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সিনিয়র ডক্টরস ক্লাব সভাপতি ও চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতালের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। বি এম এ সভাপতি থাকাকালীণ সময়ে ৯০ সালে তিনি পেশাজীবী জনতার নেতা হিসেবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে তিনি ইউএসটিসি’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন। International Biographical Centre তাকে ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে সম্মানিত করেন এবং ঐ বছরই Dictionary of International Biography তে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সাথে তাঁর জীবনি প্রকাশিত হয়।
অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিগত শতাব্দীর মাঝ ভাগের আগে ১৯৪১ সালের ১লা অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩৪৫, দেওয়ানবাজার নবাব সিরাজদৌল্লা রোডস্থ পৈত্রিক বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম শহরেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ১৯৫৭ সালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৯ সালে কৃতিত্বের সাথে আই এস সি পাশ করার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস এ ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এম বি বি এস ফাইনাল পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে স্বর্ণপদকসহ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর ১৯৬৫ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ১৯৬৮ সালের ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাউস সার্জন, সিনিয়র হাউস সার্জন ও ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৮ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চতর শিক্ষার জন্য ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিলাত যান। সেখানে তিনি ১৯৬৮ সালে Diploma in Venereolog, ১৯৭১ সালে Neurosurgery তে সারা পৃথিবীর ছাত্রদের মধ্যে কৃতিত্বের সাথে পাস করেন এবং ১৯৭৭ সালে Microsurgery উপর ডিগ্রী নেন। ডাঃ এল.এ. কাদেরীর পিতা মরহুম আবদুল লতিফ উকিল ছিলেন বৃট্রিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে স্বাধীণতা সংগ্রামী।চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রথম মুসলিম সভাপতি, নিখিল ভারত মুসলিম লীগ, চট্টগ্রাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।১৯৭৮ সালে অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের লিখিত অনুরোধে স্বদেশে ফিরে আসেন।

সে সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরবর্তীতে দেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডাঃ বদরুজদোজা চৌধুরী ঢাকার নিউরোসার্জারী বিভাগে যোগ দিতে বললে ডাঃ এল.এ. কাদেরী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিউরোসার্জারী বিভাগ খোলার সুযোগ দিতে অনুরোধ জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অনুরোধ রক্ষা করেন। সেই সময়েই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিউরোসার্জারী বিভাগ খোলা হয়। অধ্যাপক কাদেরী শুরু থেকে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত এই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে লন্ডনে থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে ‘‘বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন” নামে সংগঠন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

খ্যাতনামা এ চিকিৎসকের মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে। বিভিন্ন সংগঠন চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যাক্তি তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print