
হাওরের পাশে নির্জন অন্ধকার ঝুপড়ির মধ্যে অঝোরে কান্না করছে এক শিশু। কান্নার শব্দ শুনে এলাকার লোকজন গিয়ে দেখতে পায় এক নারীর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ। পাশে বসেই ‘মা-মা’ ডেকে অঝোরে কান্না করছে ছোট্ট শিশু ফাতেমা। শিশুটির শরীরেও লেগে আছে রক্তের দাগ।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত ইয়াসমিন (৩২) কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে। ৮-১০ বছর আগে নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের হাদিস মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের (৪০) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ২টি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে কলহ লেগেই ছিল তাদের মধ্যে। এ নিয়ে মামলাও চলছে। কয়েকদিন আগে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় ইয়াসমিন স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসেন গত ২ দিন আগে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, হাওরের পাশে অন্ধকার নির্জন জায়গা থেকে এক শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে আশপাশ থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পান এক নারীর ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। আর লাশের পাশে বসে ৩ বছর বয়সী এক কন্যা শিশু ফাতেমা অনবরত কান্না করছে।
খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীর লাশ উদ্ধার করে। ইয়াসমিন হত্যার সঙ্গে স্বামী সাদ্দাম ও তার পরিবারের লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা এলাকাবাসীর।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।